ভারতের অম্রিতসারে ব্ল্যাকআউট, সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ

সংগৃহীত

ভারতের পাঞ্জাবের অমৃতসারে আবারও ব্ল্যাকআউট প্রটোকল কার্যকর করা হয়েছে। বুধবার মধ্যরাতে সেখানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিস্ফোরণের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর অমৃতসারের বিভাগীয় প্রশাসন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ব্ল্যাকআউট শুরু করে।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে জানিয়েছে, অমৃতসারের প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে ব্ল্যাকআউট বাস্তবায়ন করেছে। জনগণকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং আতঙ্কিত না হয়ে বাড়ির বাইরে জড়ো না হতে ও সমস্ত আলো নিভিয়ে রাখতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্ল্যাকআউট কেবলমাত্র পূর্বসতর্কতার অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বা বিমানবাহিনীর কোনো হামলার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮ জানিয়েছে যে অমৃতসারে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

এ ঘটনার পর, অমৃতসারের অনেক বাসিন্দাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। পি এন শর্মা নামের একজন লিখেছেন, "আত্তারি সীমান্ত এলাকায় বিকট শব্দ শোনা গেছে।" আরেকজন, আমারবীর সিং, উল্লেখ করেছেন, "এটি কোনো সনিক বুম ছিল না, এটি বড় ধরনের বিস্ফোরণ ছিল। বাড়ি কেঁপে ওঠার পর আমি জেগে উঠি।"

এর আগে, আজাদ কাশ্মিরসহ অন্যান্য এলাকায় ভারতের হামলায় নিহতদের প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। বুধবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, "গতকাল রাতে ভারত আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে বড় ভুল করেছে। তাদের আগ্রাসনের মূল্য দিতে হবে।"

ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও বলেন, "এই হামলার জন্য ভারতকে চরম মূল্য দিতে হবে। গতরাতে ঝরানো প্রতিটি রক্তের ফোঁটার বদলা নেওয়া হবে। ভারত কাপুরুষ শত্রু, যারা নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালায়। কিন্তু তারা নিজেদের শক্তিশালী মনে করে। তবে গতকাল আমরা প্রমাণ করেছি, পাকিস্তান জানে কীভাবে উপযুক্ত জবাব দিতে হয়। পুরো জাতি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিকতাকে স্যালুট জানায়।"

শেহবাজ আরও বলেন, জম্মু-কাশ্মিরে হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি জোর দিয়ে বলেন, "ভারত যা-ই করুক না কেন, কাশ্মিরের বাস্তবতা পরিবর্তন করতে পারবে না।"