মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং উভয় পক্ষকে অবিলম্বে সংঘর্ষ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে 'ইটের বদলে পাটকেল' নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। ট্রাম্প উল্লেখ করেছেন, তিনি উভয় দেশের নেতাদের ভালোভাবে চেনেন এবং তাদের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সমাধান দেখতে চান। তিনি আরও বলেন, "তারা একে অপরের জবাব দিচ্ছে, তবে আমি আশা করি, এখন তারা থামতে পারবে" ।

এই মন্তব্যের পেছনে রয়েছে ২২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে ভারতীয় নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাহালগামে একটি সন্ত্রাসী হামলা, যেখানে ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারত 'অপারেশন সিন্ধুর' নামে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ৯টি স্থানে বিমান হামলা চালায়, যার লক্ষ্য ছিল লস্কর-ই-তইবা ও জইশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটি। পাকিস্তান এই হামলাকে 'কাপুরুষোচিত' বলে অভিহিত করে এবং প্রতিশোধের হুমকি দেয় ।

ট্রাম্পের প্রশাসন উভয় দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সম্প্রতি উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আহ্বান জানিয়েছেন ।

এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘ, যুক্তরাজ্য, চীন ও রাশিয়া, উভয় দেশকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, যদি দ্রুত সমাধান না হয়, তবে এই সংঘর্ষ একটি বৃহত্তর সামরিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে, যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে ।

এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের মন্তব্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে, বাস্তব সমাধানের জন্য উভয় দেশের আন্তরিকতা ও পারস্পরিক সহযোগিতা অপরিহার্য।