ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে ২৬ জন ভারতীয় পর্যটকের নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারত "অপারেশন সিন্ধুর" নামে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায়। এই হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত ও ৪৬ জন আহত হয়েছেন বলে পাকিস্তান দাবি করেছে ।

পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে এবং প্রতিশোধমূলক হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ।

এই পরিস্থিতিতে ভারতের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ২১টি বিমানবন্দর ১০ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে রয়েছে জম্মু, শ্রীনগর, লেহ, অমৃতসর, চণ্ডীগড়, পাতিয়ালা, হালওয়ারা, শিমলা, ধর্মশালা, জোধপুর, বিকানের, জয়সলমের, কিশনগড়, ভুজ, জামনগর, রাজকোট, মুন্দরা, পোরবন্দর, কান্ডলা, কেশোদ, গোয়ালিয়র ও হিন্ডন ।

এই বিমানবন্দরগুলোর অনেকগুলোই বেসামরিক ও সামরিক উভয় ধরনের ফ্লাইট পরিচালনা করে। ফলে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটেছে। ইন্ডিগো ১১টি বিমানবন্দর থেকে ১৬৫টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে। এয়ার ইন্ডিয়া ৯টি বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট বাতিল করেছে। এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস অমৃতসর, গোয়ালিয়র, জম্মু, শ্রীনগর ও হিন্ডন থেকে তাদের ফ্লাইট বাতিল করেছে। স্পাইসজেট লেহ, শ্রীনগর, জম্মু, ধর্মশালা, কান্ডলা ও অমৃতসরের ফ্লাইট বাতিল করেছে। আকাশ এয়ার শ্রীনগরের সব ফ্লাইট ৯ মে পর্যন্ত বাতিল করেছে ।

আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করতে না পারায় অনেক ফ্লাইট ঘুরিয়ে দিতে হয়েছে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, লুফথানসা, কেএলএম, এয়ার ফ্রান্স, ইভা এয়ার, চায়না এয়ারলাইন্স ও থাই এয়ারওয়েজ তাদের রুট পরিবর্তন করেছে বা ফ্লাইট বাতিল করেছে ।

এই সংকটের ফলে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার আকাশপথে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটেছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তবে এটি পারমাণবিক সংঘাতের দিকে গড়াতে পারে ।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং কূটনৈতিক সমাধানের জন্য চাপ দিচ্ছে।