প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারস্য উপসাগরের নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত মন্তব্য ও সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড় উঠেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় এই বিতর্কিত জলপথটির নাম কীভাবে উল্লেখ করবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

কী বলেছেন ট্রাম্প?

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, "আমাকে একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে।" যদিও তিনি জানান, কারও অনুভূতিতে আঘাত দিতে চান না এবং এ বিষয়ে তাকে ব্রিফিং দেওয়া হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৩–১৬ মে’র মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় তিনি ঘোষণা দিতে পারেন যে যুক্তরাষ্ট্র “পারস্য উপসাগর” নামটি বাদ দিয়ে “আরব উপসাগর” বা “গালফ অব অ্যারাবিয়া” ব্যবহার করবে।

ঐতিহাসিক বিতর্ক

“পারস্য উপসাগর” নামটি বহু শতাব্দী ধরে প্রচলিত, যার পক্ষে ইরানের ঐতিহাসিক মানচিত্র ও দলিল রয়েছে। এর বিপরীতে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাকসহ কিছু আরব দেশ একে “আরব উপসাগর” নামে ডাকে। এই নাম-সংক্রান্ত বিরোধ কূটনৈতিক উত্তেজনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে একাধিকবার।

ইরানের প্রতিক্রিয়া

ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি এই নাম পরিবর্তনের উদ্যোগকে “ইরান ও ইরানিদের প্রতি প্রতিকূল মনোভাব” হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, এটা বিশ্বজুড়ে ইরানিদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেবে। তিনি এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট দিয়ে বলেন, “এ ধরনের পক্ষপাতমূলক কাজ ইরানিদের জন্য অপমানজনক।”

অতীত উদাহরণ

ট্রাম্প প্রশাসনের এক বিতর্কিত পদক্ষেপ ছিল মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে "গালফ অব আমেরিকা" রাখার নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর, যা অনেকের কাছেই বিতর্কিত লেগেছিল।