ভারত-পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে তীব্র গোলাগুলিতে ভারতীয় সৈন্য নিহত

কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে তীব্র গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ল্যান্স নায়েক দিনেশ কুমার শর্মা নিহত হয়েছেন। তিনি হরিয়ানার পালওয়াল জেলার বাসিন্দা ছিলেন এবং পুঞ্চ সেক্টরে পাকিস্তানি সেনাদের মর্টার শেলের আঘাতে প্রাণ হারান।

এই সংঘর্ষের পেছনে রয়েছে ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে একটি সন্ত্রাসী হামলা, যেখানে ২৬ জন ভারতীয় পর্যটক নিহত হন। এর প্রতিক্রিয়ায় ৭ মে ভারত "অপারেশন সিন্দুর" নামে একটি সামরিক অভিযান চালায়, যেখানে পাকিস্তানের নয়টি স্থানে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। ভারত দাবি করেছে, এই হামলাগুলো জইশ-ই-মোহাম্মদ ও লস্কর-ই-তৈয়বার সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে।

পাকিস্তান এই হামলাকে "যুদ্ধের ঘোষণা" বলে অভিহিত করেছে এবং পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে। এছাড়া, পাকিস্তানি সেনারা নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারী গোলাবর্ষণ চালিয়েছে, যার ফলে উভয় পক্ষের বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘ, চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র, উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি আলোচনার উদ্দেশ্যে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ সফর করেছেন।

বর্তমানে ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে উচ্চ সতর্কতা জারি রয়েছে, এবং উভয় দেশের বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট বাতিল ও পুনঃনির্ধারণের ঘটনা ঘটছে। এই পরিস্থিতি দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি গুরুতর হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।