পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ভারতীয় সামরিক বাহিনী পাকিস্তানের কিছু শহরকে দুই থেকে তিনবার টার্গেট করার চেষ্টা করেছে, যা রাডারে ধরা পড়েছে। তিনি বলেন, এই সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে কিছু শহরে আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পাকিস্তান এর জন্য প্রস্তুত এবং ভারতের আক্রমণের চরম মূল্য দিতে হবে।

এই উত্তেজনার প্রেক্ষিতে, ৭ মে ভারত "অপারেশন সিন্দুর" নামে একটি সামরিক অভিযান চালায়, যার লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে সন্ত্রাসী ঘাঁটি। ভারতের দাবি অনুযায়ী, এই অভিযানে জইশ-ই-মোহাম্মদ ও লস্কর-ই-তৈয়বার মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই হামলায় অন্তত ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৪৬ জন আহত হয়েছেন।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, পাকিস্তান কেবল সামরিক লক্ষ্যবস্তুতেই পাল্টা আঘাত হানবে এবং বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করবে না। তিনি জানান, পাকিস্তান যুদ্ধ চায় না, তবে আত্মরক্ষার জন্য প্রস্তুত।

এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে উভয় দেশকে কূটনৈতিক পথে সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।