কি আছে হাজার কোটি টাকার রাফালে? সামরিক বাহিনীতে কেন গুরুত্বপূর্ণ রাফাল?

রাফাল যুদ্ধবিমান কি?

ফরাসি প্রতিরক্ষা কোম্পানি ডাসল্ট অ্যাভিয়েশন নির্মিত রাফাল যুদ্ধবিমান বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম আধুনিক এবং শক্তিশালী মাল্টিরোল ফাইটার জেট হিসেবে পরিচিত। এটি আকাশ-আকাশ যুদ্ধ, আকাশ-ভূমি হামলা, নজরদারি (reconnaissance), এমনকি পারমাণবিক হামলার মতো জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ মিশন সফলভাবে পরিচালনার জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। এর দাম ৩৭৫০ হাজার কোটি টাকা।

কেন রাফাল এত গুরুত্বপূর্ণ?
রাফাল যুদ্ধবিমানে রয়েছে অত্যাধুনিক সেন্সর, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্রসজ্জা এবং উন্নত প্রযুক্তি, যা এটিকে আকাশ ও মাটিতে যুদ্ধের প্রতিটি পর্যায়ে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম করে। এর বহুমুখী সক্ষমতার জন্য রাফালকে বিশ্বের সেরা যুদ্ধবিমানগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ভারতে রাফাল এত আলোচিত হওয়ার অন্যতম কারন দুটি। প্রথমত, আগে থেকেই ভারতের কাছে ৩৬টি রাফাল জেট আছে বলে ভারতীয় বাহিনী এই প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত।

দ্বিতীয়ত, ফ্রান্স রাফালের ক্ষেত্রে বহুলাংশে ভারতে ‘টেকনোলজি ট্রান্সফার’ বা প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে রাজি হয়েছে। এ বিষয়ে বিবিসিকে ভারতীয় এক সাবেক সামরিক কর্মকর্তা বলেন, “যেহেতু ৩৬টা রাফাল আগে থেকেই ভারতে আছে, তাই যখন সেগুলোরই নৌ-সংস্করণ আমরা কিনব তখন ‘ওয়েপন্স ম্যাচ’টা অনেক সহজ হবে।”

“অর্থাৎ কিনা রাফালে যে ধরনের অস্ত্রশস্ত্র আমাদের বিমানবাহিনী ব্যবহার করছে, মোটামুটি সেগুলোরই রকমফের আমাদের নৌবাহিনীও ব্যবহার করতে পারবে।”

এসময় তিনি আরও বলেন, “আসলে একটা ওয়েপন্স সিস্টেম কিনলেই তো শুধু হল না – সেটার রক্ষণাবেক্ষণ, সার্ভিসিং ও সফল প্রয়োগ নিশ্চিত করাটাও ভীষণ জরুরি। এটাকেই বলে ‘ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট’, যা অনেক সময় ভীষণ ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে'' অর্থাৎ এটা স্পষ্ট ভাবেই অনুধাবন করা যায় মূলত প্রশিক্ষণ ঝামেলা এবং অতিরিক্ত ব্যয় নির্বাহ যেন না করতে হয় তাই ভারত রাফালকে এতটা গুরুত্ব দিচ্ছে। এছাড়া যেহেতু ভারতীয় সামরিক বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে রাফালে অভ্যস্ত তাই ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও দেশটি এই বোমারু বিমানে বেশি আস্থা পাচ্ছে।

গতকাল দিবাগত রাতে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মিরে আক্রমন করে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। সেখানে তিন বাহিনীর একসঙ্গে আক্রমণও খুব একটা কার্যকরী সাফল্য আনতে পারেনি। বরং উল্টো ভারতের তিনটি রাফাল,দুটি হেলিকপ্টার এবং একটি আত্মঘাতী ড্রোন ভূপাতিত হয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিতে। পাশাপাশি পাল্টা হামলার গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ভারতের একটি সেনাঘাঁটি এবং লাইন অব কন্ট্রোলে অবস্থান করা ভারতীয় বাহিনীর তল্লাশি চৌকি। এতে বিরাট অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পরেছে ভারত।

এছাড়া ইতোমধ্যেই মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মূল্য কমতে শুরু করেছে যার ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়তে পারে ভারতের অর্থনীতিতে। এছাড়া বিশেষজ্ঞদের মতে রাফালের ভারতীয় সংস্করণের এমন ব্যর্থতার কারন হিসেবে দেখা হচ্ছে পাকিস্তানের ইলেক্ট্রনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ফাঁকি দিতে না পারা। জানা যায়, ভারতীয় রাফালে ঘাটতি রয়েছে রাডার সিস্টেমের যার ফলে এমন ভয়াবহ পরিনতি।