"নিরাপত্তার কারণে লাহোরে মার্কিন কনস্যুলেটের কর্মীদের 'আশ্রয়কেন্দ্রে' যাওয়ার নির্দেশ"
লাহোরে ড্রোন বিস্ফোরণ আতঙ্কে মার্কিন কনস্যুলেটের নিরাপত্তা সতর্কতা, ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ঘনীভূত
পাকিস্তানের লাহোরে সম্প্রতি ড্রোন বিস্ফোরণ ও আকাশসীমায় অনুপ্রবেশের খবরের পরিপ্রেক্ষিতে সেখানকার মার্কিন কনস্যুলেট জেনারেল তাদের কর্মীদের ‘নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার’ নির্দেশ দিয়েছে।
বুধবার (৭ মে) মধ্যরাতে শুরু হওয়া ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার নতুন এই অধ্যায় বেশ উদ্বেগজনক আকার ধারণ করেছে।
কনস্যুলেটের সতর্কতা
মার্কিন কনস্যুলেট তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানিয়েছে, লাহোরের প্রধান বিমানবন্দরের নিকটবর্তী এলাকা খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের জরুরি নিরাপত্তা নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
“সরাসরি সংঘাত-প্রবণ এলাকায় অবস্থানকারী মার্কিন নাগরিকদের সম্ভাব্য হলে স্থান ত্যাগ করতে, না পারলে নিরাপদ আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।” – বিবৃতিতে উল্লেখ।
যুদ্ধ পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে উপমহাদেশ?
সাম্প্রতিক উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে ‘অপারেশন সিন্দুর’, যা ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির সীমান্তে চালানো হয়। এর পাল্টা জবাবে পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ২৫টি ভারতীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
ভারতীয় সেনা সূত্রমতে, তারা পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা রাডার ও ব্যবস্থাপনাগুলোর ওপর টার্গেটেড হামলা চালিয়েছে এবং লাহোরে একটি এয়ার ডিফেন্স ইউনিট নিষ্ক্রিয় হয়েছে—এমনটিই তাদের নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য বলছে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন
উল্লেখযোগ্য যে, পাকিস্তান তাদের আকাশ প্রতিরক্ষায় রাশিয়ার এস-৩০০ প্রযুক্তির আদলে তৈরি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যুক্ত করেছে। কিন্তু বাস্তব যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এর কার্যকারিতা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে।
কূটনৈতিক উদ্বেগ ও ভবিষ্যতের আশঙ্কা
এই মুহূর্তে মার্কিন কনস্যুলেটের সতর্কতা কেবল লাহোরকেন্দ্রিক নয়, বরং গোটা অঞ্চলে নতুন সংঘাতের ঝুঁকি বাড়ারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধ যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তবে এর প্রভাব পড়বে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর।