"সীমান্তে কড়া নজরদারি, কাশ্মীরে অনুপ্রবেশকালে ৭ জনকে গুলি করে হত্যা করলো ভারতীয় বাহিনী"
সাম্বা সেক্টরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা ভেস্তে দিল বিএসএফ, নিহত সাত ‘সন্ত্রাসী’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বা সেক্টরে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৮ মে) মধ্যরাতে অনুপ্রবেশের একটি চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে তারা। অভিযানে সাতজন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বাহিনীটি।
শুক্রবার (৯ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বিএসএফ সূত্রের বরাতে জানায়, নজরদারি ড্রোন এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাঝরাতে অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করা হয়। বিএসএফের দাবি, অনুপ্রবেশকারীদের সহায়তা করছিল পাকিস্তানি সেনারা, যারা সামরিক ঘাঁটি ধান্ধার পোস্ট থেকে ভারতীয় ভূখণ্ড লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
এক বিবৃতিতে বিএসএফ জানায়, ‘‘সতর্ক নজরদারির মাধ্যমে অনুপ্রবেশের আগেই তা প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে। অভিযানে সাত সন্ত্রাসীকে নিস্ক্রিয় করা হয়েছে এবং শত্রুপক্ষের একটি সামরিক পোস্ট ধ্বংস হয়েছে।’’ এ সময় বাহিনীটি পাকিস্তানি পোস্ট ধ্বংসের একটি ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করে।
ভারতের সামরিক ঘাঁটিতে হামলার চেষ্টার অভিযোগ
এদিকে এনডিটিভি আরও জানায়, একই রাতে পাকিস্তান ভারতীয় বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটিতে বিমান হামলার চেষ্টা চালায়। যদিও ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে এ ঘটনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে পাকিস্তান এই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
উত্তর ভারতের বিভিন্ন এলাকায় ব্ল্যাকআউট, বন্ধ বিমানবন্দর
সতর্কতা হিসেবে জম্মু, শ্রীনগরসহ পাঞ্জাব ও রাজস্থানের সীমান্তবর্তী কিছু এলাকায় রাতভর ব্ল্যাকআউট কার্যকর করে বেসামরিক প্রশাসন। পাশাপাশি নিরাপত্তার স্বার্থে ভারতের অন্তত ২৪টি বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সরকারি সূত্রে।
উত্তেজনার পেছনের পটভূমি
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের একটি বন্দুক হামলায় ২৬ জন নিহত হন। নয়াদিল্লি এ ঘটনার জন্য সরাসরি ইসলামাবাদকে দায়ী করে। যদিও পাকিস্তান দাবি অস্বীকার করে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানায়। ওই ঘটনার পর ৭ মে রাতে পাল্টা হামলা চালায় ভারত। এরপর থেকেই চলছে একের পর এক হামলা-পাল্টা হামলা, বাড়ছে প্রাণহানির ঘটনা।