কাশ্মীরে সংঘাত: ভারত-পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি হামলায় তিনদিনের দুঃস্বপ্নে সাধারণ মানুষ

সংগৃহীত

ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাহেলগামে পর্যটক হত্যাকাণ্ডের পর ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে পাল্টা হামলা চালায়। এর পর থেকেই তিনদিন ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা নতুন এক "ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের" মুখোমুখি হয়েছেন। পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের খুইরাট্টার বাসিন্দা ডা. জিশান দাউদ সিএনএন-কে জানান, গত বুধবার ভোরে তীব্র গোলাবর্ষণের শব্দে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই বিদ্যুৎ চলে গিয়ে চারপাশ অন্ধকারে ডুবে যায়। এর আগে তাঁর বোনের বাসস্থান কোটলির ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভারতীয় হামলা চালানো হয়।

 

ডা. দাউদ বলেন, “প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম, সীমান্তের পাহাড়ি এলাকাগুলোতেই গোলাবর্ষণ চলছে, যেমন সাধারণত টানাপোড়েনের সময় হয়ে থাকে। কিন্তু এবার মনে হয়েছে এটি পূর্বপরিকল্পিত।”

 

তিনি আরও জানান, গোলাবর্ষণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে তাঁদের বাড়ি কেঁপে উঠছিল। তাঁর পরিবারের সব সদস্য—শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী সবাই আতঙ্কে অসহায় অবস্থায় ছিলেন। দাউদ বলেন, তিনি ও তাঁর পরিবারের ছয় সদস্য (যাঁদের বয়স ৫ থেকে ৭৩ বছরের মধ্যে) তিনদিন ধরে ধ্বংসযজ্ঞ, ভীতি ও ক্ষতির এক দুঃসহ চক্রে আটকে পড়েছেন। ভারতের বিমান ও ড্রোন হামলার জবাবে পাকিস্তানের পাল্টা হামলা এবং উভয় দেশের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের ফলে সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ৩০ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত হিসেবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিপর্যস্ত করেছে।

 

তিনি বলেন, "এই অঞ্চলের মানুষ অত্যন্ত সহনশীল। কিন্তু কোনো মা-বাবা চায় না যে তাদের সন্তান এই সন্ত্রাসের মধ্যে বড় হোক বা প্রাণ হারাক। এই রাতগুলোর মানসিক ক্ষত আমাদের বহুদিন তাড়া করবে।”

 

ডা. দাউদ আরও বলেন, "আমরা সাধারণ মানুষ, এই সংঘাতে আমাদের কোনো ভূমিকা নেই। আমরা শুধু খবরের সংখ্যা নই, আমরা মানুষ—আমাদের নিরাপত্তা, সম্মান ও ভীতিমুক্ত ভবিষ্যৎ পাওয়ার অধিকার আছে।"

সূত্র: সিএনএন

জাস্ট ইন