ভারতের যেসকল জায়গায় হামলা চালালো পাকিস্তান
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে, পাকিস্তান দাবি করেছে যে তারা ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগার এবং বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর মতে, এই অভিযানে ফাতেহ-১ মধ্যম-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রসহ একাধিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে এবং ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
পাকিস্তান জানিয়েছে, ৭ মে ভারতের হামলায় কয়েকজন পাকিস্তানি বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। পাকিস্তান সরকার দাবি করেছে, যেসব স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলো ভারত ব্যবহার করছিল পাকিস্তানি নাগরিকদের ওপর হামলার জন্য—যার মধ্যে মসজিদ, উপাসনালয় এবং সামরিক ঘাঁটিগুলোর ওপর হামলার পরিকল্পনাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, এতে দাবি করা হচ্ছে ভারতের মিসাইল হামলায় নূর খান ঘাঁটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভিডিওতে ঘাঁটি সদৃশ একটি জায়গায় বিশাল বিস্ফোরণ ঘটতে দেখা যায়। তবে ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। পাকিস্তানের নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, হামলায় বিমান থেকে মিসাইল ছুড়ে ঘাঁটি ধ্বংসের চেষ্টা চালিয়েছে ভারতীয় বাহিনী।
ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক দাবি করেছেন, ভারতের কিছু মিসাইল তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে বিমানঘাঁটির কাছে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু ঘাঁটির কোনো সম্পদ (বিমান বা অন্যান্য জিনিস) ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। ভারতের এ হামলার পর পর পাকিস্তানের পুরো আকাশসীমা মধ্যরাত থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি হুমকির সুরে বলেন, এখন ভারত আমাদের হামলা প্রত্যক্ষ করবে।
গত ২২ এপ্রিল ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারায়। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এতে পাকিস্তানে বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর প্রতিশোধে পালটা হামলা চালিয়ে ভারতের বেশ কয়েকটি বিমান এবং ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান।
উল্লেখ্য, এই সংঘাতের ফলে উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।