পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি ধ্বংসের দাবি
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জবাবে পাকিস্তান শনিবার (১০ মে) ভোরে ‘অপারেশন বুনিয়ান উন মারসুস’ নামে পাল্টা সামরিক অভিযান শুরু করে। এই অভিযানে পাকিস্তান ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের বিয়াসে অবস্থিত একটি ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংস করার দাবি করেছে ।
ভারতীয় সেনাবাহিনী ৭ মে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়ে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও পাঞ্জাব প্রদেশে ৯টি স্থানে হামলা চালায়। এই হামলায় জইশ-ই-মোহাম্মদ ও লস্কর-ই-তৈয়বার ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু ছিল বলে ভারত দাবি করে । পাকিস্তান এই হামলাকে ‘যুদ্ধের ঘোষণা’ হিসেবে আখ্যা দেয় এবং পাল্টা জবাব দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান উন মারসুস’ এর আওতায় ভারতের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এতে বিয়াসের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্র, উদমপুর এয়ার ফিল্ড এবং পাঠানকোট এয়ারফিল্ড লক্ষ্যবস্তু ছিল । পাকিস্তান দাবি করে যে, তারা ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংস করেছে। তবে ভারত এই দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
এই সামরিক উত্তেজনায় দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভারতের দাবি, পাকিস্তানের হামলায় ১৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে এবং ৪৩ জন আহত হয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান দাবি করে যে, ভারতের হামলায় ৩১ জন নিহত হয়েছে এবং ৪৬ জন আহত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, তুরস্ক এবং জি-৭ দেশগুলো উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আলোচনায় বসার পরামর্শ দিয়েছে।
বর্তমানে দুই দেশের সীমান্তে সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং উভয় পক্ষই উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। যদিও উভয় দেশই প্রকাশ্যে যুদ্ধ এড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, তবে পরিস্থিতি যেকোনো সময় আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, যদি এই উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তবে তা একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের রূপ নিতে পারে, যা দক্ষিণ এশিয়ার জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকা এবং উভয় দেশের মধ্যে সংলাপের মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের প্রচেষ্টা অত্যন্ত জরুরি।