পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছে পাকিস্তান, নতুন পাকিস্তানকে দেখবে বিশ্ব!

পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থাপনা সংস্থা ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির (এনসিএ) জরুরি বৈঠক ডেকেছে পাকিস্তান।ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর পরই এই বৈঠক ডাকল পাকিস্তান।

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দেশটির শীর্ষ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত এনসিএর এই বৈঠক ডেকেছেন। সংস্থাটি পারমাণবিক অস্ত্রসংক্রান্ত নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।

শনিবার (১০ মে) সকালে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। 

এক বিবৃতিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ পারমাণবিক অস্ত্র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জরুরি সভার আহ্বান করেছেন। এটি পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে দেশের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষ।

এমন বৈঠক সংঘাত আরও গভীরতর হওয়ার ইঙ্গিত দেয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বৈঠক থেকে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার সংক্রান্ত কোন ঘোষণা আসলে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন অন্য এক পাকিস্তানকে নতুন করে দেখবে বিশ্ব।

এশিয়া এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের ওপর কাজ করা স্টিমসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক বিশ্লেষক আসফান্দিয়ার মির বলেন, ‘এটি একধরনের পারমাণবিক সতর্কবার্তা, যা পাকিস্তানের “প্রথম ব্যবহার” নীতির সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। বাস্তব অর্থে এটি আমাদের যুদ্ধের শঙ্কা বৃদ্ধির ঝুঁকিকে অনেক ওপরের ধাপে নিয়ে গেছে। আগে কখনো এমনটি হয়নি।’

শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ভারত। ঘাঁটিগুলোর একটির অবস্থান রাজধানী ইসলামাবাদের কাছাকাছি। তবে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে। 

রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমানঘাঁটি, সরকোটের রফিকি বিমান ঘাঁটি এবং চকওয়ালের মোরাইদ ঘাঁটিতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

পাক ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী ভারতের কিছু মিসাইল তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে বিমানঘাঁটির কাছে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান। কিন্তু ঘাঁটির কোনো সম্পদ (বিমান বা অন্যান্য জিনিস) ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে দাবি করেন তিনি৷

ভারতের এই হামলার জবাবে ‘অপারেশন বুনইয়ান–উন–মারসুস’ নামে প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করে পাকিস্তান। 

সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী বলেছে, ভারতের অমৃতসরের বিয়াস এলাকায় ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের একটি মজুত কেন্দ্রকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় পাঞ্জাব রাজ্যের পাঠানকোট বিমানঘাঁটি ও ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর অঞ্চলের উধমপুর বিমানঘাঁটিতেও চালানো হয় হামলা।