পহেলগাঁওয়ে নিহত, স্ত্রীর নাগরিকত্বের ঘোষণা কেন্দ্রের
পহেলগাঁওয়ে নিহত বিতানের স্ত্রী সোহিনী রায়কে ভারতীয় নাগরিকত্ব দিল কেন্দ্র
কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় নিহত কলকাতার বাসিন্দা বিতান অধিকারীর স্ত্রী সোহিনী রায়কে ভারতের নাগরিকত্ব প্রদান করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারান। তাদের মধ্যেই ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার পাটুলির বাসিন্দা বিতান অধিকারী। কর্মসূত্রে তিনি স্ত্রী ও সন্তানসহ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতেন। ঘটনার পর নিহতের দাদা বিভূ অধিকারী অভিযোগ করেন, সোহিনী বাংলাদেশি নাগরিক এবং তাঁর বিরুদ্ধে অতীতে জালিয়াতির মামলা রয়েছে।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সোহিনী রায় বহু আগে বিবাহসূত্রে ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন। ভারত সরকার সেই আবেদন গ্রহণ করে তাঁকে নাগরিকত্ব দিয়েছে। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানাই।”
উল্লেখ্য, হামলার পর সোহিনী এবং তাঁর সন্তান কাশ্মীর থেকে কলকাতায় ফেরেন। বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান রাজ্য সরকারের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও অরূপ বিশ্বাস। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। সোহিনী জানান, ধর্মীয় পরিচয়ের কারণেই তাঁর স্বামীকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
এরই মধ্যে বিতানের দাদা বিভূ অধিকারী অভিযোগ করেন, সোহিনীর ভারতের নাগরিকত্ব ও পরিচয়পত্র জাল। তিনি বলেন, “সোহিনীর দুটি জন্মসনদ, একটি ভারতীয় পাসপোর্ট, ভোটার আইডি ও আধার কার্ড রয়েছে, যেগুলো ভুয়া বলেই প্রমাণিত হয়েছে।” তিনি আরও দাবি করেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সোহিনী ভারতে অবস্থান করছেন এবং তার পাসপোর্টের মেয়াদ ফেব্রুয়ারিতেই শেষ হয়।
এছাড়াও বিভূ জানান, সোহিনী ও তাঁর মা ভারতী রায়ের বিরুদ্ধে একটি জালিয়াতি মামলাও চলমান রয়েছে, যদিও ভারতী বাংলাদেশে ফিরে গেছেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে সোহিনী কোনও মন্তব্য করেননি, তবে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, “এই মুহূর্তে সোহিনী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন, এখন কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।”
অবশেষে সব জটিলতা পেরিয়ে সোহিনী রায় ভারত সরকারের কাছ থেকে নাগরিকত্ব পেলেন।