যুদ্ধবিরতির পর হঠাৎ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো কাশ্মীর
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে টানা ১৯ দিন ধরে চলা উত্তেজনার পর মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে দু’দেশ। শনিবার (১০ মে) বিকেল ৫টা থেকে কার্যকর হওয়া এই যুদ্ধবিরতির মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এলো নতুন তথ্য।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টার মাথায় ভারতশাসিত কাশ্মীরের পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে শ্রীনগর। ফলে আবারও ভয় ও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে বাসিন্দারা।
ভারতশাসিত কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এক ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, এটি কোনো যুদ্ধবিরতি নয়। তিনি শ্রীনগরজুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শোনার কথাও জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারাও একাধিক বিস্ফোরণের কথা নিশ্চিত করেছেন। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে শহরজুড়ে।
ভারতের কাশ্মীরের রাজধানীতে বসবাসকারী মাদিহা ফারুক আল জাজিরাকে বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর স্বস্তির মুহূর্ত এসেছিল। আমাদের বড় পরিবার স্বাভাবিক অবস্থা অনুভব করার জন্য চা খেতে জড়ো হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই জোরে বিস্ফোরণে বাতাস কেঁপে ওঠে। আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি, আলো নিভিয়ে দেই এবং এক কোণে একসাথে জড়ো হই।’
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, একাধিক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিস্ফোরণের প্রকৃতি সম্পর্কে কোনও আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা না থাকায় কিছু বাসিন্দা "পরিত্যক্ত এবং অপ্রস্তুত" বোধ করার কথা বর্ণনা করেছেন।
শ্রীনগরের আরেক বাসিন্দা বলেন ‘এগুলো আগের শব্দগুলোর মতো ছিল না। একটি বিস্ফোরণ এত শক্তিশালী ছিল যে দেয়াল কাঁপিয়ে দিয়েছিল। কর্তৃপক্ষ কী ঘটছে তা স্পষ্ট করছে না; আমাদের কোনও আশ্রয়কেন্দ্র নেই; আমরা কোনও সাইরেনও শুনতে পাইনি। আমরা কী করব জানি না।’
শ্রীনগর-ভিত্তিক সাংবাদিক উমর মেহরাজ জানিয়েছেন, তিনি আকাশে বস্তু উড়তে দেখেছেন এবং বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের শব্দ, বিদ্যুৎবিচ্ছিন্নতা এবং এয়ার সাইরেন শোনা যাচ্ছে। প্রকৃত অবস্থা পরিষ্কার নয়। এগুলো ক্ষেপণাস্ত্র না আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ তা জানা যায়নি।’
বারামুল্লা ও জম্মুতেও বিস্ফোরণের খবর এসেছে এবং শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানান তিনি। এই ঘটনায় কোনো পক্ষই এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে দায় স্বীকার করেনি এবং হতাহতের বিষয়েও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।