যুদ্ধবিরতির পরও উত্তেজনা: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণ

সংগৃহীত

কয়েকদিনের তীব্র হামলা ও পাল্টা হামলার পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। তবে, যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। আন্তর্জাতিক সীমান্তজুড়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে ভারত।

 

শনিবার (১১ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

 

এ ঘটনায় গভীর রাতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রী। তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই পাকিস্তান পুনরায় গোলাগুলি শুরু করেছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তিনি এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায় পাকিস্তানের ওপর চাপান।

 

বিক্রম মিস্রী আরও জানান, ভারতীয় সেনারা এর উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তিনি পাকিস্তানকে সতর্ক করে বলেন, অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন বন্ধ না করলে ভারত কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।

 

যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টা পরই জম্মু-কাশ্মিরের শ্রীনগরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। অঞ্চলটির মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ সামাজিক মাধ্যম এক্সে একটি পোস্টে লেখেন, "যুদ্ধবিরতির কী হলো? শ্রীনগরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।"

 

শ্রীনগরের স্থানীয় বাসিন্দারা কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে জানান, তারা একাধিক বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন। বিস্ফোরণের পর শহরের কিছু অংশে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে ব্ল্যাকআউট করা হয়।

 

শ্রীনগরের সাংবাদিক ওমর মেহরাজও আলজাজিরাকে নিশ্চিত করেন যে, তারা বিস্ফোরণের শব্দ শুনছেন। তিনি বলেন, "আমরা শ্রীনগরে বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ পাচ্ছি। সকালে এবং বিকেলেও একই ধরনের শব্দ শোনা গেছে। আমি আকাশে কিছু উড়তে দেখেছি, তবে সেগুলো মিসাইল না আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, তা নিশ্চিত নয়।" একই ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ বারামুল্লাহ ও জম্মুতেও শোনা গেছে।

 

তিনি আরও বলেন, বিস্ফোরণের পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য দৌড়াতে শুরু করে। তবে হতাহতের খবর নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

 

জম্মু-কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী এক্সে আরেকটি পোস্টে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন, যেখানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। তিনি মন্তব্য করেন, "শ্রীনগরে কোনো যুদ্ধবিরতি নেই। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে।"

 

লুধিয়ানার ডিসি জানিয়েছেন, আতঙ্কের কিছু নেই, তবে প্রয়োজন হলে ব্ল্যাকআউট কার্যকর করা হবে। পাঞ্জাবের অমৃতসরের ডিসি দাবি করেন, সেখানেও অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। প্রয়োজন হলে অমৃতসরে ব্ল্যাকআউট কার্যকর করা হবে বলে জানান তিনি।