খাদ্য সংকটে ধুঁকছে গাজা, ৬৫ হাজার শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিতে

গাজায় খাবারের আশায় শূন্য পাত্র হাতে তাকিয়ে ফিলিস্তিনি শিশুরা। ছবি: আনাদোলু

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি অবরোধের কারণে খাদ্য সংকট চরম আকার ধারণ করেছে, যার ফলে অন্তত ৬৫,০০০ শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে। গাজার জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, টানা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ত্রাণ ও জরুরি সরবরাহ প্রবাহ বন্ধ থাকার কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গাজার সব বেকারি গত ৪০ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে, ফলে বাসিন্দারা রুটি ও অন্যান্য খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। রুটি এখানকার প্রধান খাবার, যার অভাবে দুর্ভিক্ষ ও অপুষ্টি তীব্র হচ্ছে, বিশেষ করে শিশু, অসুস্থ ও বৃদ্ধদের মধ্যে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৫২,৮১০ জনে দাঁড়িয়েছে, আহত হয়েছেন আরও ১,১৯,৪৭৩ জন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মানবাধিকার সংগঠন এই পরিস্থিতিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৫২,৮১০ জনে দাঁড়িয়েছে, আহত হয়েছেন আরও ১,১৯,৪৭৩ জন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মানবাধিকার সংগঠন এই পরিস্থিতিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

ইউনিসেফের মতে, গাজায় খাদ্য ও অন্যান্য ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ থাকায় শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি, অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় খাদ্য সংকটের কারণে শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা তীব্র হচ্ছে। ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, যার ফলে চিকিৎসা সেবা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

গাজার জনগণের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন হলেও, ইসরায়েলি অবরোধের কারণে ত্রাণ সরবরাহ সীমিত হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা অবরোধ শিথিল করে গাজার জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছে।

এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। গাজার জনগণের মানবিক পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা ও সমর্থন প্রয়োজন।