পিএসসি সংস্কারসহ ৮ দফা বাস্তবায়নে ৭ দিনের আল্টিমেটাম চাকরিপ্রার্থীদের
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)-এর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও গতি আনার দাবিতে আট দফা উত্থাপন করেছেন বিসিএস পরীক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। এসব দাবি আদায়ে তারা কর্তৃপক্ষকে ৭ দিনের সময়সীমা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন আন্দোলনরত প্রার্থীদের পক্ষের প্রতিনিধিরা। তাদের দাবি—পিএসসি সময়ক্ষেপণ, প্রশ্নফাঁস, গ্যাজেট আটকে রাখার মতো অনিয়মে ভরে উঠেছে; যা চাকরিপ্রত্যাশীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলছে।
চাকরিপ্রার্থীদের দাবির সারাংশ নিম্নরূপ:
প্রথম দফা:
প্রতিটি বিসিএস এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন করতে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশ করতে হবে। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ এবং লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি ন্যূনতম দুই মাস আগে ঘোষণা করতে হবে।
দ্বিতীয় দফা:
প্রার্থীদের ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় হয়রানি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। চূড়ান্ত সুপারিশের পর শুধুমাত্র গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ বা রাষ্ট্রদ্রোহের সুস্পষ্ট অভিযোগ ছাড়া গেজেট প্রকাশ আটকে রাখা যাবে না। গেজেট স্থগিত হলে কারণ জানাতে হবে এবং আপিলের সুযোগ দিতে হবে।
তৃতীয় দফা:
‘নন-ক্যাডার বিধি ২০২৩’ বাতিল বা সংশোধন করে মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল প্রার্থীকে চাকরির আওতায় আনতে হবে।
চতুর্থ দফা (ত্রিভাগে বিভক্ত):
(ক) ৪৬তম বিসিএসের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে দোষীদের বিচারের আওতায় এনে বহিষ্কার করতে হবে।
(খ) ৪৬তম বিসিএস বাতিলের সম্ভাবনা নেই, এই মর্মে নিশ্চয়তা দিতে হবে।
(গ) ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল জুনের মধ্যে প্রকাশ এবং ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা জুলাই মাসে আয়োজন করতে হবে।
পঞ্চম দফা:
৪৫তম বিসিএস থেকে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০-তে আনতে হবে এবং চূড়ান্ত ফল ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে।
ষষ্ঠ দফা:
ভাইভা পরীক্ষার আগে প্রার্থীদের ক্যাডার পছন্দ পুনর্বিন্যাসের সুযোগ দিতে হবে এবং তা ৪৫তম বিসিএস থেকেই কার্যকর করতে হবে।
সপ্তম দফা:
বিসিএস জট নিরসনে দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করে অস্থায়ীভাবে পিএসসির সদস্য সংখ্যা ২৫ থেকে বাড়িয়ে ৩০-এ উন্নীত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
অষ্টম দফা:
লিখিত খাতা মূল্যায়নে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আনতে কমিশনের তত্ত্বাবধানে পরীক্ষকদের কেন্দ্রে বসিয়ে খাতা দেখা নিশ্চিত করতে হবে।
চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, এই আট দফা বাস্তবায়ন হলে বিসিএস প্রক্রিয়া স্বচ্ছ, সময়োপযোগী এবং প্রার্থীবান্ধব হবে।