প্রেমিকার খোলা পিঠে প্রেমিক কবিতা লেখে: শ্রাবন্তী
টলিপাড়ার নতুন জুটি শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। নতুন ছবি ‘আমার বস’ মুক্তির আগে আনন্দবাজার ডট কমের রেকার্ডারের সামনে নায়িকা।
২০২৫ সালটা কি তবে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়েরই বছর?
সবাই যখন বলছে তা হলে হয়তো সত্যি। অনেকগুলো ছবির শুটিং আগেই করা হয়ে গিয়েছিল। সব পর পর মুক্তি পাচ্ছে। আমার এই ব্যস্ততাটাই ভাল লাগে।
হাঁপিয়ে ওঠেন না?
অনেক বিশ্রাম পাই। সেই ৭-৮ বছর বয়স থেকে অভিনয় করছি। ব্যস্ততাটা জীবনের অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। এই যেমন এখন ‘আমার বস’-এর প্রচার পর্ব চলছে, আমি বেশ উপভোগ করছি।
পরিচালক তথা নায়ক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তো আপনার প্রথম কাজ?
হ্যাঁ, এটা তো আমার কত দিনের স্বপ্ন ছিল।
ইচ্ছেপূরণ বিশ্বাস করেন?
হ্যাঁ, অবশ্যই। মনের বাসনার যে শক্তি তা আর কোনও কিছুতে নেই। এখানেই তো সেই শাহরুখের সংলাপ মনে পড়ে যায়। আমার ইচ্ছাশক্তির জন্যই তো শিবুদাকে আমি সহঅভিনেতা, পরিচালক আবার প্রযোজক তিনরকম ভাবেই পেলাম।
ছবিতে আপনাদের প্রেম নিয়েও তো আলোচনা চলছে অনেক, কানে এল সে কথা?
(একগাল হাসি) হ্যাঁ, সে তো ফোন খুললেই দেখতে পাচ্ছি। বেশ ভাল লাগছে। শিবুদার সঙ্গে ছবিতে প্রেমের আলোচনাও বেশ লাগছে।
খোলা পিঠে আপনার আর শিবপ্রসাদের যে সম্মোহনের দৃশ্য, এক টেকেই হয়েছিল নাকি…
(প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই)কোনও এনজি নয়। একেবারে এক টেকে ওকে। কোনও ভুলের জায়গা নেই। আমরা চরিত্রে ডুবে গিয়ছিলাম।
চুমু, হাতে লেখা চিঠি, টেক্সট মেসেজ নাকি খোলা পিঠে কবিতা লেখা—কোনটা সবচেয়ে রোমাঞ্চকর বলে আপনার মনে হয়?
চুমু, চিঠি অনেক হয়ে গিয়েছে। এখন তো এই খোলা পিঠে কবিতা লেখাটাই বেশি রোমাঞ্চকর লাগছে আমার। এমন প্রেমে নতুনত্ব আছে।
তা হলে আপনার ঝুলিতে আরও একটা নতুন জুটির সংখ্যা বাড়ল। সোহম, জিৎ, দেবের পর এবার শিবপ্রসাদ-শ্রাবন্তী জুটি।
হ্যাঁ, আমার সব জুটিই কিন্তু হিট। তিন নায়কের সঙ্গে যে ক’টা ছবি করেছি প্রতিটা ছবিকে ভালবাসা দিয়েছেন দর্শক।
প্রতিটা জুটির আলাদা আলাদা ‘স্বাদ’ রয়েছে…
সে তো অবশ্যই। যেমন সোহমের সঙ্গে আমি ছোটবেলা থেকে কাজ করছি। ওর সঙ্গে বন্ধুত্বটাই আলাদা। আবার দেবের সঙ্গে যখন কাজ করেছি হ্যান্ডসাম, গুড লুকিং সুপারস্টার। আর জিৎদা যে আমার নায়ক হবে সেটা তো কখনও ভাবতেই পারিনি। স্কুল থেকে ওঁর সিনেমা দেখতে গিয়েছি। তার পরের বছরই জিৎ আমার নায়ক। সবটাই স্বপ্নের মতো। তবে শিবুদাকে নায়ক হিসাবে পাওয়াটাও আমার স্বপ্ন ছিল। আশা করছি এই নতুন জুটিকেও দর্শক সমান ভালবাসা দেবেন।
রাখি গুলজ়ারের থেকে কী শিখলেন?
উনি সেটে আসা মানেই একটা অন্যরকমের পরিবেশ তৈরি হয়ে যেত। যতই বড় মাপের মানুষ হন না কেন,জুনিয়র অভিনেতা থেকে টেকনিশিয়ান প্রত্যেকের সঙ্গে সমান ব্যবহার, মিশে যাওয়া একটা বড় গুণ। আর সেই সঙ্গে অভিনয় তো আছেই।
আপনি যে অসাধারণ ‘মিমিক্রি’ করেন, সেটা কি রাখি গুলজ়ারকে দেখালেন?
না না পাগল! একেবারে না। ওটা তোলা থাকল। পরে যদি ওনার সঙ্গে আর কোনও সিনেমা করি তাহলে তখন দেখাব।
পর্দায় তো আপনারা শাশুড়ি-বৌমা। কোন রসায়নটা দেখবেন দর্শক, লঙ্কার ঝাঁঝ নাকি নলেন গুড়ের মতো মিষ্টি সম্পর্ক?
এখানে শাশুড়ি-বৌমার কোনও লড়াই নেই। ফাটাফাটি সম্পর্ক। পর্দায় দেখলে আরও বেশি করে বুঝতে পারবেন সবাই।
কোনটা, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে নায়ক হিসাবে পাওয়া নাকি ‘উইন্ডোজ’ প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কাজ করা?
সবটা। অনেকেই আমায় বলেছিলেন একবার আমার ‘উইন্ডোজ’-এর সঙ্গে কাজ করা উচিত।
তা হলে ‘আমার বস’ ছবিতে হ্যাঁ বলার জন্য কোন বিষয়টা সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করেছে?
অবশ্যই উইন্ডোজের সঙ্গে প্রথম কাজ আর গল্পটা। আমি পরে জেনেছিলাম ছবিতে রাখি গুলজ়ার আছেন। আমার এই প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কাজ করার বাসনা ছিল বহু দিনের। আমার বন্ধুরা তো বলেইছিল সেই সঙ্গে অনেক সিনিয়র টেকনিশিয়ানরাও বলেছিলেন যে এই সংস্থার সঙ্গে কাজ করা মানে একটা পরিবারের সঙ্গে কাজ করা। বলা যায় অনেক দিনের ইচ্ছেপূরণ।