পরকীয়ার টানে প্রবাসী স্বামীকে তালাক দিয়ে মিথ্যা মামলার অভিযোগ
মাদারীপুরে পরকীয়া প্রেমের টানে গ্রিস প্রবাসী স্বামীকে তালাক দিয়ে উল্টো তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের মিথ্যা অভিযোগ করেছেন স্ত্রী (২৩)। এমন অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী গ্রিস প্রবাসী নুর আলম মুন্সির (৩৮) পরিবার।
জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের আপাসী গ্রামের করম আলী মুন্সীর ছেলে নুর আলম মুন্সী দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে গ্রীসে অবস্থান করছেন। প্রায় ৫ বছর আগে দেশে ফিরে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন বনগ্রামের রহিম হাওলাদারের মেয়ে মারুফা আক্তারকে। বিয়ের কিছুদিন পরই তিনি আবার বিদেশে ফিরে যান।
প্রবাসী নূর আলমের অভিযোগ, প্রথমদিকে সংসার ভালো চললেও ধীরে ধীরে স্ত্রী মারুফা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি বুঝতে পেরে একাধিকবার সতর্ক করলেও কর্ণপাত করেননি মারুফা। উল্টো বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার নিজের প্রেমিকের পেছনে খরচ করেন। তিন মাস আগে বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা এবং প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান মারুফা।
নূর আলমের পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকে প্রবাসী স্বামী মারুফা ও তার মায়ের ব্যাংক একাউন্টে প্রায় ২৯ লক্ষ টাকা পাঠান। এসব টাকা এবং স্বর্ণালংকার আত্মসাৎ করে মারুফা পরে নূর আলমকে তালাক দেন এবং উল্টো তার ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের মামলা করেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী প্রবাসীর বোন ফাহিমা আক্তার মাদারীপুর সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ফাহিমা জানান, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তারা।
অন্যদিকে মারুফার বাবা রহিম হাওলাদার ও মা হাবিবা আক্তার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের মেয়ে কোনো পরকীয়ায় জড়িত নয়। বরং প্রবাসী নূর আলম সংসারের কোনো খরচ দিত না, এ কারণেই মেয়ে তাকে তালাক দিয়েছে।
এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আদিল হোসেন বলেন, দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।