ভারত ছাড়তে হচ্ছে না সিআরপিএফ জওয়ানের পাকিস্তানি স্ত্রীকে

ছবি: সংগৃহীত

জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে অন্য পাক নাগরিকদের সঙ্গে বাসে উঠে বসেছিলেন মিনাল খান। অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। সীমান্তে যখন পৌঁছোলেন, ঠিক তখনই তাঁর কাছে একটা ফোন আসে। ফোনটা এসেছিল তাঁর আইনজীবী অঙ্কুর শর্মার কাছ থেকে। ‘গ্রেটার কাশ্মীর’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইনজীবী মিনালকে বলেন, ‘‘এখনই পাকিস্তানে ফিরতে হচ্ছে না আপনাকে। আদালত এ বিষয়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে।’’

সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন বলছে, পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের এই তরুণীর সঙ্গে অনলাইনে গত বছরের মে মাসে বিয়ে হয়েছিল সিআরপিএফ মুনির খানের। এ বছরের মার্চে জম্মু-কাশ্মীরে পৌঁছোন মিনাল। কারণ, জম্মু-কাশ্মীরেই এখন তাঁর শ্বশুরবাড়ি।

‘গ্রেটার কাশ্মীর’-এর প্রতিবেদন বলছে, পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা মিনাল। ন’বছর ধরে ভিসার অপেক্ষা করার পর এ বছরে মার্চে স্বল্পমেয়াদের ভিসায় ভারতে আসেন মিনাল। কিন্তু ২২ মার্চ তাঁর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যেই পহেলগাঁও কাণ্ডের জেরে সমস্ত পাক নাগরিককে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেয় সরকার। ভারত ছাড়ার নোটিস পান মিনালও। স্বামী, শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে তাঁকে পাকিস্তানে চলে যেতে হবে। এই বিচ্ছেদ মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছিল মিনালের।

কিন্তু লাদাখ হাইকোর্টে আবেদন জানান মিনাল এবং স্বামী মুনির। আদালতে মিনাল আবেদন জানান, ভারতে থাকার জন্য দীর্ঘমেয়াদি ভিসার আবেদন করেছেন তিনি। তা ছাড়া এক জন ভারতীয়কে বিয়ে করেছেন। সেই সূত্রে তাঁকে এ দেশে স্বামীর সঙ্গে থাকতে দেওয়া উচিত। মিনালের আইনজীবী অঙ্কুর বলেন, ‘‘ভারত সরকারের এই নির্দেশ সেই সব পাক নাগরিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যাঁরা কারও আত্মীয়তার সূত্রে এ দেশে এসেছেন। কিন্তু মিনাল এক জন ভারতীয়কে বিয়ে করেছেন এবং তা সম্পূর্ণ বৈধ ভাবে।’’ মিনালের এই আর্জিতে সাড়া দিয়েছে আদালত। তার পরই পাকিস্তানে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আদালতের এই নির্দেশ পেয়েই হাসি ফোটে মিনালের মুখে।

‘গ্রেটার কাশ্মীর’-কে মিনাল বলেন, ‘‘দীর্ঘমেয়াদি ভিসার জন্য আবেদন করেছি। স্বল্পমেয়াদি ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে মার্চে।’’ মিনাল আরও বলেন, ‘‘আমাদের এ দেশে থাকতে দিন। পরিবারের সঙ্গে থাকতে দিন। পহেলগাঁওয়ের হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। হামলাকারীদের উচিত শিক্ষা দেওয়া জরুরি।’’