ট্যারিফজনিত খরচ বেড়েও আপাতত পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে না অ্যাপল
অতিরিক্ত ৯০০ মিলিয়ন ডলার ট্যারিফ ব্যয় সত্ত্বেও, অ্যাপল এখনই তাদের পণ্যের দাম বাড়াবে না বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও টিম কুক।
বছরের শুরুতে অ্যাপল রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আয় করেছে—৯৫.৪ বিলিয়ন ডলার, যা একটি নতুন মাইলফলক। একই সঙ্গে প্রতি শেয়ারে আয় ছিল ১.৬৫ ডলার, এটিও একটি রেকর্ড। এত বিশাল পরিমাণ ট্যারিফ পরিশোধের পরও অ্যাপলের এই লাভ তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা ও শক্ত অবস্থান নির্দেশ করে।
এক সংবাদ সম্মেলনে টিম কুককে জিজ্ঞেস করা হয়, বর্তমান ট্যারিফ পরিস্থিতির কারণে ভবিষ্যতে কি অ্যাপল পণ্যের দাম বাড়াবে? জবাবে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের বলার মতো কিছু নেই।” অর্থাৎ, অন্তত আগামী প্রান্তিকে দাম বৃদ্ধির কোনও পরিকল্পনা প্রতিষ্ঠানটির নেই।
ট্যারিফের প্রভাব তুলনামূলক কম হওয়ার বিষয়ে কুক বলেন, অ্যাপল এখন অনেক পণ্য ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করছে। উদাহরণস্বরূপ, আইফোনের একটি বড় অংশ ভারতে উৎপাদিত হচ্ছে এবং ম্যাকের অধিকাংশ ভিয়েতনাম থেকে আসে। চীনে উৎপাদিত পণ্যগুলো মূলত যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে রপ্তানি করা হয়, ফলে সেগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফের প্রভাব পড়ে না।
তিনি আরও জানান, অ্যাপলের সবচেয়ে বেশি ট্যারিফ ব্যয় হয়েছে অ্যাপলকেয়ার ও এক্সেসরিজ বিভাগে—যেমন বিক্রয়োত্তর সেবার যন্ত্রাংশ ও আইফোন কেস ইত্যাদিতে, যেখানে ট্যারিফ হার ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছে। তবুও এই ব্যয় এখনও পর্যন্ত পণ্যের দামে প্রতিফলিত হয়নি।
ভবিষ্যতের প্রসঙ্গে টিম কুক বলেন, অ্যাপলের মূল পণ্য—আইফোন, ম্যাক, আইপ্যাড, অ্যাপলওয়াচ ও ভিশনপ্রো—এখনও পর্যন্ত গ্লোবাল রিসিপ্রোকাল ট্যারিফের আওতায় পড়েনি। কারণ, মার্কিন বাণিজ্য দপ্তর এখনো সেমিকন্ডাক্টর ও প্রযুক্তি পণ্যে ট্যারিফের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করছে।
তিনি আরও যোগ করেন, অ্যাপল সরাসরি ট্যারিফ সংক্রান্ত আলোচনায় যুক্ত আছে এবং প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বাস করে, আলোচনার মাধ্যমেই একটি কার্যকর সমাধান সম্ভব।