মিষ্টি খাওয়ার আদর্শ সময়: পুষ্টিবিদদের মূল্যবান মতামত
ওজন বেড়ে যাওয়া কিংবা ডায়াবেটিসের ভয়ে অনেকেই মিষ্টিজাতীয় খাবার বর্জন করেন। পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকদের মতে, এই ভয় অমূলক নয়—কারণ অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তবে চিনি একেবারে বর্জন না করেও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, যদি তা খাওয়া হয় সঠিক সময়ে ও পরিমিতভাবে।
পুষ্টিবিদদের মতে, শুধু কী খাচ্ছেন তাই নয়, কখন খাচ্ছেন সেটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চা-কফিতে চিনি দেওয়া হোক কিংবা মিষ্টিজাতীয় খাবার, সবই নির্দিষ্ট সময়ে খেলে ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
সঠিক সময়েই খেতে হবে মিষ্টি
গবেষণা এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, খালি পেটে মিষ্টি খাওয়া একেবারেই অনুচিত। ঘুম থেকে উঠে সঙ্গে সঙ্গে মিষ্টি খেলেই রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। পুষ্টিবিদরা বলেন, প্রোটিন, ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবারের সঙ্গে অল্প মিষ্টি খাওয়া গেলে ক্ষতির সম্ভাবনা কমে। তবে এই বিষয়ে ব্যক্তি অনুযায়ী পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
চিনি শুধুমাত্র মিষ্টান্ন বা রসগোল্লায় সীমাবদ্ধ নয়। বিভিন্ন কোমল পানীয় ও প্রক্রিয়াজাত খাবারেও চিনি লুকিয়ে থাকে। তাই সকালের দিকে এই ধরনের খাবার না খাওয়াই ভালো। তবে দুপুরের খাবারের পরে অল্প পরিমাণে মিষ্টি খাওয়া যেতে পারে, কারণ এই সময়ে শরীরের বিপাক হার তুলনামূলক বেশি সক্রিয় থাকে। অন্যদিকে, রাতের খাবারের পরে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা—কারণ রাতে শারীরিক পরিশ্রম কম হয় এবং চিনি সহজে জমে যেতে পারে।
সতর্ক থাকুন, সুস্থ থাকুন
ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য সমস্যা এড়াতে এখন থেকেই খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। যতটা সম্ভব অতিরিক্ত চিনি এড়িয়ে চলা, পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম এবং প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া—এগুলোই সুস্থ থাকার চাবিকাঠি।
সূত্র: এই সময়