ছবি: সংগৃহীত

বীজ আলুর উচ্চমূল্যে বিপাকে চাষিরা, পুনর্বিবেচনার দাবি মানববন্ধনে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বীজ আলুর উচ্চমূল্য আর উৎপাদিত আলুর কম দামে বাজারজাত করতে বাধ্য হওয়ায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন দেশের আলুচাষিরা। ফলে অনেকেই আর্থিকভাবে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে বীজ আলুর দাম পুনর্বিবেচনার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) চুক্তিভুক্ত চাষি ফোরামের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এই দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রুহুল আমিন মিলন, যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ শামসুদ্দোহা তাপস, সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক, মধুপুর জোনের সভাপতি এফআর মুকুল, কুড়িগ্রাম জোনের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, এবং রাজশাহী জোনের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান।

বক্তারা জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিএডিসি থেকে ৪৮ থেকে ৫৪ টাকা দরে ভিত্তি বীজ আলু কিনে, উৎপাদনের পর তারা প্রতি কেজি বীজ বিক্রি করেছেন ৩৫ থেকে ৩৭ টাকায়। অথচ বাজারে তখন খুচরা আলুর দাম ছিল ৭০-৮০ টাকা প্রতি কেজি। চুক্তির কারণে তারা বিএডিসির বাইরে বিক্রি করতে না পারায় বিশাল লোকসানের সম্মুখীন হন।

তারা অভিযোগ করেন, বিএডিসি সেই সময় বিপুল পরিমাণ মুনাফা করলেও চাষিদের ক্ষতির কথা বিবেচনায় নেয়নি। নতুন অর্থবছর ২০২৪-২৫ এর জন্য ভিত্তি বীজের দাম ধরা হয়েছে ৬০ থেকে ৬২ টাকা প্রতি কেজি, যা চাষিদের জন্য আরও বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বক্তারা আরও জানান, একদিকে বীজের অস্বাভাবিক মূল্য, অন্যদিকে সার, কীটনাশক ও অন্যান্য উপকরণের দাম বৃদ্ধির ফলে চাষিদের বীজ উৎপাদনের খরচ অঞ্চলভেদে দাঁড়িয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা প্রতি কেজি। ফলে ভবিষ্যতে চাষাবাদ নিরুৎসাহিত হবে এবং জাতীয়ভাবে আলু উৎপাদনে প্রভাব পড়বে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।

চাষিদের প্রধান দাবি—বিএডিসির নির্ধারিত বীজ আলুর মূল্য পুনঃনির্ধারণ করে ন্যায্য মুনাফা নিশ্চিত করা এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি স্বচ্ছ ও টেকসই দামের কাঠামো প্রণয়ন করা।