কমিটির বিরুদ্ধে মসজিদের জমি বিক্রির অভিযোগ, হজ পালন নিয়ে প্রশ্ন
গাজীপুরে হজ পালনের নামে মসজিদের জমি দখলের অভিযোগ, সালাউদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ স্থানীয়দের
গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানাধীন খিলগাঁও এলাকায় হজ পালনের উদ্দেশ্যে অর্থ সংগ্রহের নামে জমি বিক্রি এবং মসজিদের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সালাউদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ জানিয়েছেন মসজিদ কমিটি ও ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী বাসির উদ্দিন সরকার জানান, প্রায় ১২-১৩ বছর আগে খিলগাঁও মৌজার আরএস ৫২৩ দাগে সাত শতক জমি ১০ লাখ টাকা বায়না দিয়ে সালাউদ্দিনের কাছ থেকে কিনেছিলেন। সালাউদ্দিন তখন হজ পালনের কথা বলে সবার কাছে দোয়া চেয়ে সেই টাকা গ্রহণ করেন এবং দেশে ফিরে রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও জমি রেজিস্ট্রি না করে উল্টো বাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
বাসির উদ্দিন অভিযোগ করেন, “জমিটি পূর্বাচলের পাশে হওয়ায় এর মূল্য এখন কোটি টাকার বেশি। সালাউদ্দিন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে জমি দখল করে আমাকে পথে বসিয়েছেন।”
খিলগাঁও পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের সিনিয়র সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সরকার জানান, স্বাধীনতার পর মকবুল নেছা নামের এক নারী ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জমির দুই শতক মসজিদের নামে ওয়াকফ করে রেজিস্ট্রেশন করে দেন। অভিযোগ রয়েছে, সেই জমিসহ স্ট্যাম্প বায়নার মাধ্যমে হজের টাকা আদায় করেন সালাউদ্দিন সরকার। বর্তমানে তিনি ওই জমি দখল করে কলাবাগান তৈরি করেছেন এবং মসজিদের জমি ফেরত দিচ্ছেন না।
মসজিদের সহসভাপতি সৈয়দ আলী সরকার বলেন, “আমার দাদি মকবুল নেছা মসজিদের নামে জমি ওয়াকফ করেছিলেন। কিন্তু এখন সেখানে মসজিদের নামমাত্র কোনো চিহ্ন নেই, পুরো জমিতে কলাবাগান করে রেখেছেন সালাউদ্দিন।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, সালাউদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে পূর্বেও সালিশ-বিচার হয়েছে, যেটিতে তিনজন নির্বাচিত কাউন্সিলর সুলতান উদ্দিন আহমেদ, বাছির ও মোমেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু প্রভাবশালী সালাউদ্দিন কোনো সিদ্ধান্ত মানেননি।
মসজিদের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, “সালাউদ্দিন সরকারের জমির আশপাশে কারো জমি থাকলে, তার আর রক্ষা নেই। বছরের পর বছর মসজিদের জমি অবৈধভাবে দখলে রেখেছেন তিনি।”
স্থানীয়রা দ্রুত মসজিদের জমি উদ্ধার এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।