ভাণ্ডারিয়ায় মাদ্রাসার খাবার খেয়ে ৭ শিক্ষার্থী অসুস্থ, বাবুর্চি আত্মগোপনে

সংগৃহীত

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় একটি মাদ্রাসার মধ্যাহ্নভোজের খাবার খেয়ে ৭ জন শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে, যাদের ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

 

শনিবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নের রাজপাশা দারুস সুন্নাত তালিমুল কোরআন ও হাফেজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কামাল হোসেন।

 

অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলেন— আল আমীন (৯), মো. রায়হান (১২), মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন (১৩), মো. জাকারিয়া (১৪), মো. মিরাজ হোসেন (১৩), মো. জোবায়ের (১০) এবং মো. রাসেল (১০)।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে মাদ্রাসার ১৫ জন আবাসিক শিক্ষার্থীর জন্য খাসির মাংস, লাউয়ের তরকারি এবং ডাল দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সরবরাহ করা হয়। খাবার শেষ করে বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্রামে গেলে হঠাৎ করেই বমি করতে শুরু করে। এতে ১৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাদের ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে আটজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও, সাতজন এখনও অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং তাদের স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনার পর থেকে মাদ্রাসার বাবুর্চি মো. এনামুল হোসেন আত্মগোপনে আছেন।

 

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. বাদশা হাওলাদার জানিয়েছেন, দুপুরের খাবারের পর শিক্ষার্থীরা একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ে, ফলে ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এর মধ্যে আটজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে, তবে সাতজন এখনও হাসপাতালে রয়েছে।

 

ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কামাল হোসেন ধারণা করছেন, প্রচণ্ড গরম বা খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে থাকতে পারে। বর্তমানে সাতজন শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে এবং তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।