ফেলে যাওয়া ৭৮ জনের মধ্যে ৪ জন ভারতীয় নাগরিক

সংগৃহীত

পশ্চিম সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া চরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ফেলে যাওয়া ৭৮ জনকে শ্যামনগর থানায় নেওয়া হচ্ছে। রিভারাইন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (আরবিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সৈয়দ আব্দুর রউফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রোববার (১১ মে) দুপুর ২টার দিকে কোস্টগার্ড সদস্যরা তাদের নিয়ে লোকালয়ের উদ্দেশে রওনা দেন।

 

আরবিজিবি সূত্রে জানা যায়, ৭৮ জনের মধ্যে ৪ জন ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন এবং বাকিরা বাংলাদেশি। তাদের অধিকাংশের বাড়ি বরিশাল, নড়াইল ও খুলনা জেলায়। 

বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শনিবার (১০ মে) রাত ১১টার দিকে মান্দারবাড়িয়া ক্যাম্প থেকে তাদের কাকা-দোবেকী কোস্টগার্ড ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকেই তাদের উদ্ধার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা শুরু হয়।

 

বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. মশিউর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মান্দারবাড়িয়া ক্যাম্প থেকে জানানো হয় যে, উদ্ধারের পর ৭৮ জনের অধিকাংশই কয়েকদিন না খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এরপর জরুরি ভিত্তিতে খাবার, স্যালাইন ও পানি নিয়ে আমরা ক্যাম্পে পৌঁছি। শারীরিকভাবে সবাই দুর্বল থাকলেও তাদের ওপর নির্যাতনের চিহ্ন আছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

 

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. রনী খাতুন বলেন, বিএসএফের ফেলে যাওয়া ব্যক্তিদের কোস্টগার্ড সদস্যরা থানায় হস্তান্তরের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। পরিচয় শনাক্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

শ্যামনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মোল্লা জানান, তাদের জন্য উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ৭৮ জনকে কেন জঙ্গলে ফেলে যাওয়া হলো, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

 

এর আগে শুক্রবার (৯ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একাধিক নৌযানে করে রায়মঙ্গল নদী পার হয়ে বিএসএফ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা ৭৮ জনকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ফেলে যায়। অভিযোগ রয়েছে, তারা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত।