এরা হলেন—সুলতান সেলিম (৫৫), তামিম শেখ(৩০), রানা আহমেদ (২৩) ও বিপ্লব (২৫), সেলিম তরফদার (৫৩), তামিম শেখ (৩৫), দেবব্রত রায় (৪৮), রানা শেখ (২৫), রাব্বি মোড়ল (৩৩), রবিউল ইসলাম গাজী (৪৮), সরদার দৌলত হোসেন(৫৫), হাকিম গাজী (৪৬), বিএম হাবিবুর রহমান হবি (৫২), তাজিন সরদার (২৫), আমিনুর রহমান (২৭), রাহুল ও আবু হাসান। আহতদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন গ্রুপ এবং ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরদার দৌলত হোসেন গ্রুপের মধ্যে হামলা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ভাঙচুর ও মারপিটের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর গরুর হাট দখলকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চুকনগর গরুহাট ও ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় গরু হাটের খাজনা আদায়ের ঘর ও ইউনিয়ন পরিষদের কিছু আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।
ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুদ রানা বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চুকনগর বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও মারামারি ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে থানা পুলিশসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে আটলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ হেলাল উদ্দিন বলেন, আটলিয়ার বাজারটি একটি সরকারি হাট। সপ্তাহে দুদিন সেখানে হাট বসে। ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ায় বর্তমানে মসজিদের নামে খাজনা আদায় করা হলেও সাবেক বিএনপি নেতা দৌলতের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ জোরপূর্বক খাজনা আদায় করতে গেলে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে।
ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দৌলত হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।