সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথিপত্র পুড়ে যাওয়ার তথ্য সঠিক নয়

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার গুরুত্বপূর্ণ নথি আগুনে পুড়ে যাওয়ার খবর ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বার্তায় বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়।  

এর আগে, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় দাবি করা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ডিবি কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের সময় সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথিপত্র পুড়ে গেছে। হাইকোর্টে রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্যের সূত্র ধরে সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য প্রচার করে।

সেদিন বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ জানান, অগ্নিকাণ্ডে অনেক রেকর্ডের সঙ্গে সাগর-রুনি হত্যা মামলার বেশ কিছু নথিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তদন্তের গোপনীয়তা রক্ষার্থে মামলার অগ্রগতি প্রকাশ না করেই তিনি তদন্ত সম্পন্ন করতে আরও ৯ মাস সময় চান।  

রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির আদালতে বলেন, ‘মামলাটির তদন্ত বারবার পেছানো হচ্ছে। এতে জনমনে খারাপ বার্তা যাচ্ছে।’

সব শুনানি শেষে আদালত তদন্তের জন্য আরও ছয় মাস সময় মঞ্জুর করেন।  

এদিকে, মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) জানিয়েছে, সাগর-রুনি হত্যা মামলার কোনো গুরুত্বপূর্ণ নথি আগুনে পুড়ে যায়নি। তবে ডিবির অধিকাংশ কর্মকর্তা বদলি হওয়ায় পুরোনো নথি খুঁজে পেতে কিছুটা সময় লাগছে বলে জানায় সংস্থাটি।  

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের বাসায় খুন হন এটিএন বাংলার বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও মাছরাঙা টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। হত্যাকাণ্ডের এক যুগ পার হলেও এখনো এ মামলার তদন্ত শেষ হয়নি।