জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ৩৫ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াসিন এ তথ্য জানান। জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য মো: আজিজুল হাকিম এই মামলা করেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন ছাত্রলীগকর্মী ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী আকরাম হোসেন জুলকারনাইন (২৬), শাহরুক আলম শোভন (২৮), জাহিদুল ইসলাম হাসান (২৫), মাকসুদুল হাসান আরাফাত (২৫), অভি ইসলাম (৩০), কামরুল ইসলাম (৩০), কামরুল ইসলাম (৩১), অতনু গুণ্ডা (৩০), তৌফিক এলাহী (৩০), মো: রিজভি খান (২৯), ফরহাদ মোল্লা (২৯), রায়হান (৩০), আল সাদিক হৃদয় (৩০), ইমরুল নিয়াজ (৩০) ও মো: সম্রাট হোসেন (২৯)।
তালিকায় আরো আছেন সামিউল তাহসান শিশির (৩০), মির মুকিত (২৫), অপূর্ব লাবিব (২৪), মারুফ (২৮), মাহিনুর রহমান বিজয় (২৭), সাজবুল ইসলাম (২৭), অর্জুন বিশ্বাস (২৪), রবিউল ইসলাম (২৭), মিলন মাহফুজ (২৮), মেহেদী হাসান শাওন (৩০), আবু সুফিয়ান (২৭), সাইফ (২৭), সজল (২৯), রিফাত সাঈদ (২৭) অভিজিৎ বিশ্বাস (২৭), আব্দুল কাদের (২৭), রাজা হাওলাদার (১২), মাহবুব নয়ন (৩০), শরিফুল ইসলাম তানভির (২৯), আসাদুজ্জামান আসাদ (২৯)-সহ আরো অজ্ঞাতনামা আরো ৩০-৩৫ জন।
মামলার এজাহার বলা হয়, আসামিদের নেতৃত্বে বিভিন্ন ধরনের গ্যাং ছিল। এদের মধ্যে উৎপাত ১২ নামের গ্যাংয়ের নেতৃত্বে ছিলেন ১ নম্বর আসামি আকরাম হোসেন জুলকারনাইন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে শহীদ সাজিদ ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে টর্চার সেলের মাধ্যমে ছাত্রদল এবং ক্রিয়াশীল বিভিন্ন সংগঠনের ছাত্রদের ধরে নিয়ে গিয়ে বিভিন্নভাবে টর্চার, মোবাইল মানিব্যাগ ছিনতাইসহ সবাইকে হত্যার উদ্দেশে ব্যাপক মারধর করা হতো। তারই ধারাবাহিকতায় ১ নম্বর আসামি আকরাম হোসেন জুলকারনাইন ২০২৩ সালের ২৯ আগস্ট রড, লাঠি, হকিস্টিক, চাপাতি দিয়ে বাদিকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুতর জখম করে।
এর আগে রোববার মামলার ১ নম্বর আসামি আকরাম হোসেন জুলকারনাইনকে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে জবি শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার ক্লাস পরীক্ষা বয়কট করে বিভাগের গেটে তালা দেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে বেলা ১২টার দিকে কোতয়ালি থানায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভাগের শিক্ষার্থীরা গণস্বাক্ষরের মুচলেকা দিয়ে আকরাম হোসেন জুলকারনাইনকে ছাড়িয়ে নেন। পুলিশ জানায়, ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্ঠ কিছু না পাওয়ায় ও জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করায় তাকে শিক্ষার্থীদের জিম্মায় ছাড়া হয়।
এ ঘটনার পর মঙ্গলবার এই মামলা দায়ের করেন ছাত্রদল নেতা আজিজুল হাকিম আকাশ।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, ২০২৩ সালে ছাত্রদলের ওপর হামলার অভিযোগে একটা মামলা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।