সাংবাদিকদের ছাঁটাই ইস্যুতে ফারুকীর প্রতিক্রিয়া: ‘সময়টা সোজা দাঁড়িয়ে সোজা কথা বলার’
“অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো”—এই মন্তব্য করে সাম্প্রতিক তিন টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিক ছাঁটাই নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও খ্যাতিমান নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
সোমবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে ফারুকী লেখেন,
“যারা দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাচ্ছেন, তাদের বলি—সময়টা অনুমানভিত্তিক ব্যাখ্যার জন্য নয়। বরং সময়টা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর।”
হঠাৎ তিন সাংবাদিক চাকরিচ্যুত
সম্প্রতি দেশের তিনটি শীর্ষ টেলিভিশন চ্যানেল থেকে হঠাৎ করে তিনজন পরিচিত সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়। ছাঁটাইয়ের কারণ আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো না হলেও, ধারণা করা হচ্ছে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষণ ও প্রতিবেদনের কারণেই তারা “অনাকাঙ্ক্ষিত” হয়ে ওঠেন।
সাংবাদিক মহল থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনাকে “মৌন সেন্সরশিপ” বা “অঘোষিত দমননীতি” বলেও আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
ফারুকীর বক্তব্য ও বার্তা
ফারুকী আরও লেখেন—
“সময়টা কাদের পক্ষে, কাদের বিপক্ষে—এটা হিসেব করার সময় না। সময়টা সোজা দাঁড়িয়ে সোজা কথা বলার। অন্যায় হচ্ছে—এটা বলা এখনই জরুরি।”
তিনি বর্তমান বাস্তবতায় সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, "যদি এমন হয়, সত্য উচ্চারণ করলেই চাকরি যাবে—তাহলে আমরা ধ্বংসের দিকে যাচ্ছি।"
সাংবাদিক ইউনিয়ন, সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সংগঠন ইতোমধ্যে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।
অনেকে মনে করছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বার্তা দিলেও বাস্তবতা ভিন্ন কিছু ইঙ্গিত দিচ্ছে।
তবে সরকারিভাবে এখনো ছাঁটাইয়ের বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ফারুকীর মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই তার সাহসিকতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন, কেউ কেউ আবার পরিস্থিতিকে "নতুন স্বৈরতন্ত্রের সূচনা" হিসেবেও দেখছেন।