বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের নতুন ঠিকানা: ভার্চুয়ালি ঘর হস্তান্তর প্রধান উপদেষ্টার

বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পে নির্মিত ঘর হস্তান্তর করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ফেনী জেলা থেকে নির্বাচিত চার উপকারভোগীর হাতে তাদের নতুন ঘরের চাবি ভার্চুয়ালি তুলে দেন তিনি।
প্রতিটি জেলার একজন করে উপকারভোগী প্রধান উপদেষ্টাকে তাঁদের অনুভূতি জানিয়ে ধন্যবাদ জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন,
“বন্যা বেড়ে যাচ্ছিল। সবাই ত্রাণ নিয়ে দৌড়াদৌড়ি, সাহায্যের জন্য সারাদেশ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এটা যে কত বড় বন্যা ছিল তা বুঝতে পেরেছি বন্যা চলে যাওয়ার অনেক পরে। বন্যায় যারা বাড়িঘর হারিয়েছিল, তাদের কোথাও যাওয়ার কোনো জায়গা ছিল না। নানাভাবে প্রস্তাব আসছিল, বাড়ির জন্য টাকা দিতে হবে। টাকা দেওয়ার ব্যাপারে আমি একটু শক্ত অবস্থান নিয়েছিলাম। টাকা দিতে গেলে এই টাকার ভাগ-বাটোয়ারা অনেক রকম হয়ে যাবে। যারা প্রাপ্য তাদের হাতে পৌঁছাবে না। তখন প্রস্তাব এসেছিল যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে করার, সেই প্রকল্পের বিষয়ে জানা ছিল না, তবে নামটা জানা ছিল। তখন ভাবলাম যে এটা কী করা যায়, পরে জানলাম এটা সেনাবাহিনী করবে। তখন স্বস্তি পেলাম, আসলে টাকাটা সঠিকভাবে ব্যবহার হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন,
“ভালো লাগছে যে, টাকাটার সঠিক ব্যবহার হয়েছে। ঘরটাও সঠিকভাবে নির্মাণ হয়েছে। অনেক সময় টাকা ব্যবহার করা হলেও গুণগতমান ঠিক হয় না। আজ গুণগতমানের ব্যাপারেও আশ্বস্ত হলাম। আমরা যে টাকা দিয়েছিলাম তার অর্ধেক টাকাতে কাজটা হয়েছে। উল্টো খবর। সাধারণত যে টাকা দেয়া হয়, তার দ্বিগুণ চাওয়া হয়। এখানে যা দেয়া আছে তার অর্ধেক ব্যবহার হয়েছে। একটা আনন্দের খবর।”
ড. ইউনূস বলেন,
‘সহযোগিতা ও সহমর্মিতার ধারা অব্যাহত থাকলে আমরা একটি সাহসী ও স্বনির্ভর জাতি গড়ে তুলতে পারব।’
তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে “অনন্য দৃষ্টান্ত” স্থাপনের জন্য ধন্যবাদও জানান।