রমনা বটমূলে ছায়ানট বোমা হামলার মামলার রায় ৮ মে

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠান চলাকালীন নিষিদ্ধ ঘোষিত হরকাতুল জিহাদের জঙ্গিদের বোমা হামলায় নিহত ১০ জনের মামলার ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের রায় আগামী ৮ মে ঘোষণা করবেন হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ। বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত বিচারক রুহুল আমিন পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়, তা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডাদেশের বিধান ছিল। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মুফতি আবদুল হান্নান, মাওলানা তাজউদ্দিন, মাওলানা আকবর হোসেন, মুফতি আব্দুল হাই, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর (হাফেজ সেলিম হাওলাদার), মুফতি শফিকুর রহমান ও মাওলানা আরিফ হাসান সুমন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা সাব্বির (আবদুল হান্নান সাব্বির), হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মাওলানা শওকত উসমান (শেখ ফরিদ), মাওলানা আব্দুর রউফ ও শাহাদত উল্লাহ (জুয়েল)।

সেসময় রায়ে মৃতদের স্বজনেরা ক্ষতিপূরণের দাবি করেন এবং মামলার স্বচ্ছ তদন্তের কথাও উঠেছিল। আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করলে ২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়, শেষে একই বছরের ১৪ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করা হয়। পরে মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ.এস.এম. আব্দুল মোবিনের বেঞ্চে পাঠানো হয়, কিন্তু দীর্ঘ দিনেও শুনানি হয়নি।

আজ আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস. এম. শাহজাহান, সরওয়ার আহমেদ ও মোহাম্মদ শিশির মনির; রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।

৮ মে রায়ে হাইকোর্ট ঠিক করবেন মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের কার্যকরিতা টেকসই হবে কি না, এবং অতীত প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও প্রমাণের যথার্থতা নিয়ে কী নির্দেশনা থাকবে। মামলাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে তা প্রয়োজনে সর্বোচ্চ আদালতে উঠতে পারে।