অপ্রয়োজনীয় কলে ব্যহত জরুরি সেবা ৯৯৯
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রমে অন্যতম প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অপ্রয়োজনীয় কল। সেবার আট বছরে প্রাপ্ত ৬ কোটি ১৬ লাখের বেশি ফোন কলে ৩ কোটি ৪৭ লাখ কলই অপ্রয়োজনীয়, যা মোট কলের প্রায় ৫৭ শতাংশ। এই অপ্রয়োজনীয় কলের কারণে প্রকৃত জরুরি সেবাপ্রত্যাশীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
৯৯৯-এর প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি মহিউল ইসলাম জানান, প্রতিদিন গড়ে ২২ থেকে ২৫ হাজার কল আসে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশই অপ্রয়োজনীয়। অনেকেই কল করে কথা বলেন না, কেউ গান শোনান, আবার কেউ তুচ্ছ ঘটনা বা পারিবারিক ঝগড়ার বিষয়েও ফোন করেন। এতে করে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সেবায় বিঘ্ন ঘটে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০১-এর ৭০ নম্বর ধারায় উল্লেখ আছে, যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া বারবার ফোন করে অসুবিধা সৃষ্টি করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এজন্য দোষীকে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। যদিও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ও আস্থা অর্জনের কথা চিন্তা করে এ আইনের প্রয়োগ এখনও করা হয়নি, তবে অপ্রয়োজনীয় কলের সংখ্যা না কমায় শিগগিরই এই আইন বাস্তবায়ন করা হবে।
এদিকে, ৯৯৯-এ ইংরেজি ভাষায় সেবা চালু হলেও সেখানেও অপ্রয়োজনীয় কলের প্রবণতা দেখা দিয়েছে, যা বিদেশি সেবাপ্রত্যাশীদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম নিশ্চিত করতে এবং প্রকৃত সেবাপ্রত্যাশীদের সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে অপ্রয়োজনীয় কল রোধে কঠোর আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।