দেশের প্রেক্ষাপট ও চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে গবেষণার ধরন নির্ধারণ করতে হবে।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত “ডিইউ রিসার্চ এক্সিলেন্স রিকগনিশন ২০২৫” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বক্তারা উপরোক্ত বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউট থেকে প্রায় ৩০০ জন খ্যাতিমান শিক্ষক ও গবেষককে গবেষণা ও বুদ্ধিবৃত্তিক অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ এফ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ডেইলি নিউ এজ-এর সম্পাদক নূরুল কবির এবং কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান সেলিম রহমান।
স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. এম রেজাউল ইসলাম এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ।
‘উচ্চশিক্ষায় বিনিয়োগের গুরুত্ব’ শীর্ষক প্রথম অধিবেশনে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এবং প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।
এই অধিবেশনে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কামরান টি. রহমান, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রতিনিধি ফাইজা আহাদ এবং বিশ্বব্যাংকের শিক্ষা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান উচ্চশিক্ষার গুরুত্ব, টেকসই উন্নয়ন এবং বিনিয়োগের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আলোকপাত করেন।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণাভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে 'উচ্চশিক্ষা কমিশন' হিসেবে রূপান্তরের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের গবেষণার জন্য তিনি গবেষকদের অভিনন্দন জানান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তিনি দলীয় রাজনীতির নেতিবাচক প্রভাবের কথা উল্লেখ করে জানান, শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে বিভাজন নয়, সমন্বয়ই দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিং উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি র্যাঙ্কিং কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং ইউরোপসহ বিভিন্ন খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনায় উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগের ফলে গত এক বছরে চীনা শিক্ষার্থীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। ভিজিটিং প্রফেসররাও গবেষণা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। ইন্টার-ডিসিপ্লিনারি রিসার্চ ও গবেষণার পরিবেশ গঠনে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।