এক দশক ধরে এলজিইডি দখলে রেখেছে একটি পরিবার

প্রায় এক দশক ধরে পিরোজপুর এলজিইডি অফিস পুরোপুরি দখলে ছিল একটি পরিবারের কাছে। ভুয়া প্রকল্প এবং কাজ না করেই দপ্তর থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। একাধিক তদন্তে বের হয়ে এসেছে এলজিইডির অকল্পনীয় দুর্নীতির তথ্য। সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সাবেক এমপি মহিউদ্দিন মহারাজ, দপ্তরের ২২ জন অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংশ্লিষ্টতায় পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম এই দুর্নীতির গডফাদার।

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার প্রায় ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ নাজিরপুর-বৈঠাকাটা সড়ক। গুরুত্ব বিবেচনায় গত বছর জুনে ৪টি প্যাকেজে প্রায় ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায় ভান্ডারিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলামের ইফতি ইটিসিএল প্রাইভেট লিমিটেড।

চলতি বছর জুনে রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, এখনো শুরুই হয়নি। উল্টো বরাদ্দের পুরো টাকা তুলে নিয়েছে মিরাজ। শত শত রাস্তা ও সেতুর কাজ অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যেগুলোর অর্ধেকের বেশি কার্যাদেশ পেয়েছে মিরাজুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ৮টি লাইসেন্সে।

অধিকাংশ প্রকল্প থেকেই মিরাজ তুলে নিয়েছে পুরো টাকা। যার পরিমাণ আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। এছাড়া শুধুমাত্র কাগজে কলমে ভুয়া প্রকল্প এবং একই স্থানে একাধিক কাজ দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। যার প্রধান সহযোগী পিরোজপুর এলজিইডি’র সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার, তার দুই অসৎ সহযোগী, এলজিইডি’র ঢাকা ও বরিশাল অফিসের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এবং জেলা হিসাব রক্ষণ অফিস মিলিয়ে মোট ২৭ জন কর্মকর্তা কর্মচারী। তদন্তে উঠে এসেছে এই তথ্য

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের তদন্তে উঠে আসে । আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি লোপাটের তথ্য । তদন্তে দুর্নীতির সাথে আরও সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী’র মূখ্য সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং সাবেক মন্ত্রী শম রেজাউল করিম ও সাবেক সংসদ মহিউদ্দন মহারাজ সহ আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর। অনেক নেতা।