ধর্ম অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে ব্ল্যাসফেমি আইন পাস করার দাবি জানিয়েছেন আলোচিত ইসলামী বক্তা ও জৌনপুরের পীর মুফতি ড. সাইয়্যেদ এনায়েতউল্লাহ আব্বাসী। একইসঙ্গে তিনি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনকে বিতর্কিত আখ্যা দিয়ে এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার দাবি করেন।
শনিবার (৩ মে) সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে মুফতি আব্বাসী বলেন, “এই সরকার নারী কমিশন করে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। করিডোর (মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক করিডোর) দিয়ে স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।”
হেফাজতে ইসলাম রাজনীতি করবে না, তবে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “৫৩ বছর আমাদের ঘারে পা দিয়ে ইসলামবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় গেছে। আগামীতে আলেম-ওলামাকে ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত জনগণ মানবে না। কেউ আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকালে চোখ উপড়ে ফেলতে হবে। আলেমদের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।”
এসময় তিনি কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণারও দাবি জানান।
ড. ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বলেন, “আমরা গত ১৬ বছর ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রক্ত দিয়েছি। সর্বপ্রথম রামবাম নাস্তিক, ভারতীয় আধিপত্যবাদ, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে শাপলা চত্বরে রক্ত দিয়েছে হেফাজতে ইসলামের আলেম ওলামা কর্মীরা। সেই আন্দোলনের আগ্নেয়গিরিতে গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতা আগুন দিয়েছে। অতএব আলেম ওলামাদের বাদ দিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না।”
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের “কোরআন-সুন্নাহবিরোধী প্রতিবেদনসহ কমিশন বাতিল”; “সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল”; “ফ্যাসিবাদের আমলে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার”; “শাপলা চত্বরে গণহত্যাসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার” এবং “ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম গণহত্যা-নিপীড়ন বন্ধের” দাবিতে এই মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন হেফাজতের আমির মাওলানা শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ্ বাবুনগরী।