দেশে এসেছে মাকসুদার মরদেহ
সৌদি আরবে নিহত মাদারিপুরের প্রবাসী নারী শ্রমিক মাকসুদার মরদেহ দেশে ফিরেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তার মরদেহ ঢাকায় পৌঁছে। এসময় তার পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়েন। প্রবাসী দুই বাংলাদেশি কাজ দেয়ার কথা বলে মাকসুদাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন তার স্বজনরা।
গত ২৪ মার্চ সৌদি আরবের রিয়াদে একটি বাসার বদ্ধ ঘর থেকে তিন সন্তানের জননী মাকসুদা নামের এই সৌদি প্রবাসি শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ১১ এপ্রিল বাংলাদেশ সৌদি দূতাবাস থেকে মাকসুদার মৃত্যুর খবর আসে তার পরিবারের কাছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অশ্র“শিক্ত চোখে মায়ের মরদেহ নেয়ার জন্য স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে এভাবেই অপেক্ষা করছে মাকসুদার ছেলে, বোন ও স্বজনরা।
এক পর্যায়ে রাত ২টার দিকে এই রেমিটেন্স যোদ্ধার মরদেহ বহনকারী বিমানের অবতারণের খবর পেয়ে গেটের কাছে ছুটে যায় তারা। পরে কফিনবন্দি মায়ের মরদেহ দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মাকসুদার ছেলে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
নতুন কাজ দেয়ার কথা বলে মাকসুদাকে দুই বাংলাদেশি প্রবাসী অত্যাচার করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
হত্যাকারীদের বিচারের জন্য বাংলাদেশি সৌদি দূতাবাসে অভিযোগ দেয়া হলেও দূতাবাস কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন মাকসুদার ছেলে।
এ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন মাকসুদার স্বজনরা। একই সঙ্গে এই রেমিটেন্স যোদ্ধার তিন সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য সরকারের কাছে সাহায্যের দাবিও করেন তারা।
এর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিন সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যত গড়তে ২০১৬ সালে সৌদি আরবে পাড়ি জমান মাকসুদা। বছর দুয়েক পরে দেশে ফিরেন। তারপর ওমান গিয়ে আড়াই বছর পর আবার সন্তানদের কাছে ফিরে আসেন তিনি। পরবর্তীেেত ২০২৪ সালে আবার সৌদি আরব যান তিনি।