নোয়াখালীতে ট্রেন চালুর দাবিতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা রেলপথ অবরোধ করেছেন। রোববার (৪ মে) সকাল ৬টা থেকে মাইজদী রেলস্টেশনে 'সুবর্ণচর এক্সপ্রেস' চালুর দাবিতে রেললাইনে অবস্থান নেন তারা। এর ফলে চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে পড়ে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলার আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম জানান, ২০২৩ সালে নোয়াখালী-ঢাকা রুটে 'সুবর্ণচর এক্সপ্রেস' নামে নতুন আন্তঃনগর ট্রেন বরাদ্দ দেওয়া হলেও এখনও তা চালু হয়নি। এই রুটের যাত্রীরা প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ফলে বাস সিন্ডিকেট নানাভাবে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও রোগীদের জন্য নির্ভরযোগ্য ট্রেন সার্ভিস অত্যন্ত জরুরি।

অবরোধে অংশ নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, "আমরা বহুদিন ধরে এই ট্রেনের অপেক্ষায় আছি। অথচ কোনো অজানা কারণে ট্রেন চালু করা হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নেমেছি। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোনো আশ্বাস না পেলে আমাদের আন্দোলন আরও কঠোর হবে।"

এদিকে মাইজদী কোর্ট স্টেশনের দায়িত্বে থাকা স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, ৬টায় ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও অবরোধের কারণে তা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলে জানানো হয়েছে এবং সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন।

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, "আমরা বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।"

অবরোধের কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। মো. আসাদুজ্জামান নামের এক যাত্রী বলেন, "আমরা দাবির পক্ষে একমত তবে ভোগান্তির মধ্যে আছি। আমরা জরুরি কাজে যেতে পারছি না। দ্রুত একটা ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।"

এই আন্দোলনের মাধ্যমে নোয়াখালীর জনগণ তাদের দীর্ঘদিনের ট্রেন চালুর দাবিকে সামনে এনেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান প্রত্যাশা করছেন তারা।