নির্বিঘ্ন যাত্রা ও নিরাপদ মহাসড়ক: ঈদে পশুবাহী ট্রাকের চলাচলে হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ প্রস্তুতি
হাইওয়ে সিলেট রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে যেসব পশুবাহী ট্রাক ঢাকা বা দেশের অন্যান্য জেলা থেকে সিলেটে আসবে, সেগুলো মাধবপুর থেকে শুরু করে নাজিরবাজার পর্যন্ত ১০৮ কিলোমিটার মহাসড়ক নির্বিঘ্নে অতিক্রম করে নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে।
৫ মে সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের হলরুমে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঈদ উপলক্ষে মহাসড়কে শৃঙ্খলাপূর্ণ ট্র্যাফিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হাইওয়ে পুলিশ সিলেট রিজিয়নের উদ্যোগে এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সিলেট জেলা পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পুলিশ সুপার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের প্রতি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, যানবাহন চালানোর ক্ষেত্রে ট্র্যাফিক আইন মেনে চলা, দুর্ঘটনা রোধে গতির নিয়ন্ত্রণ রাখা এবং দূরপাল্লার যাত্রায় অতিরিক্ত চালক রাখা আবশ্যক। পাশাপাশি ঈদের সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করার জন্যও অনুরোধ জানান তিনি।
মহাসড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি বলেন, কোরবানির পশুবাহী ট্রাক অনেক সময় বাধা বা জোর করে নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়, যা পশু ব্যবসায়ীদের জন্য সমস্যার কারণ হয়। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাধবপুর অংশে একটি কন্ট্রোল সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ট্রাকচালকরা সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট থানার যোগাযোগ নম্বর সংগ্রহ করতে পারবেন, যাতে কোনো বাধার সম্মুখীন হলে তাৎক্ষণিকভাবে থানায় বা প্রয়োজনে সরাসরি পুলিশ সুপারের নম্বরে ফোন করে সহায়তা নিতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, মহাসড়কে যাত্রী ওঠানামার বিশৃঙ্খলা বন্ধে উদ্যোগ নেওয়া হবে। সন্দেহভাজন যাত্রীদের বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশকে জানাতে হবে এবং যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাসে ভিডিও নজরদারি ও চেকপোস্ট কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
সভায় তামাবিল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন হাইওয়ে সিলেট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মির্জা মো. সাইজুদ্দিন ও ইন্টেলিজেন্স উইং-এর পরিদর্শক সুমন কুমার চৌধুরী।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান মালিক ও শ্রমিক সমিতির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, নিরাপদ সড়ক চাই সিলেট মহানগরের প্রতিনিধিরাও।
পরিবহন নেতারা মহাসড়কে আরও নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানালে পুলিশ সুপার আশ্বস্ত করেন— ঈদের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত ট্র্যাফিক ফোর্স মোতায়েন ও ডাকাতি প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।