প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে নতুন অধিদপ্তর গঠন করবে সরকার

বাংলাদেশের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন, পরিবীক্ষণ এবং মূল্যায়নের জন্য একটি নতুন অধিদপ্তর গঠনের পরিকল্পনা করছে। বর্তমানে বিদ্যমান "বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিট" (CPEIMU) কে রূপান্তর করে এই নতুন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করা হয়েছে, যার নাম হবে "প্রাথমিক শিক্ষা পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন অধিদপ্তর"।

নতুন অধিদপ্তরের উদ্দেশ্য ও কার্যপরিধি:

  • প্রাথমিক শিক্ষার মান পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন: শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা।

  • গবেষণা ও সুপারিশ প্রণয়ন: প্রাথমিক শিক্ষার বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা করে উন্নয়নের জন্য সুপারিশ প্রদান।

  • ডাটাবেজ তৈরি ও সংরক্ষণ: প্রাথমিক শিক্ষার তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং বিশ্লেষণ করে একটি সমন্বিত ডাটাবেজ গঠন।

  • পরিদর্শন ও তদারকি: সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কেন্দ্র, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত বিদ্যালয় এবং কমিউনিটি বিদ্যালয়সমূহের পরিদর্শন ও তদারকি।

  • নিবন্ধন কার্যক্রম মনিটরিং: বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন এবং হাইস্কুল সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিবন্ধন কার্যক্রম এবং নিবন্ধনের শর্তাবলি প্রতিপালনের পরিবীক্ষণ।

  • শিক্ষক দক্ষতা মূল্যায়ন: প্রাথমিক শিক্ষকদের দক্ষতা নির্ধারণ এবং মানোন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম।

  • তথ্য প্রচার ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি: প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য ও বক্তব্য প্রচার করে জনসচেতনতা বৃদ্ধি।

গঠনের প্রক্রিয়া ও বর্তমান অবস্থা:

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ড. আবু শাহীন মো. আসাদুজ্জামান জানান, "এটির প্রস্তাব করা হয়েছে। একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত করবে।"

বর্তমানে CPEIMU-এর অফিস শিক্ষা ভবনে অবস্থিত এবং এতে প্রায় ৫৫ জন কর্মরত রয়েছেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে এই ইউনিটের গুরুত্ব কম দেওয়ায় কর্মকর্তারা প্রায় ৩০ বছর ধরে পদোন্নতি বঞ্চিত রয়েছেন।

 

নতুন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হলে, এটি প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন, প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও, অধিদপ্তরটি প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ও প্রতিবেদন প্রণয়ন করে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সহায়তা প্রদান করবে।

উল্লেখ্য: এই প্রস্তাবনাটি এখনও চূড়ান্ত নয় এবং মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।