তামাক পণ্যে কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে মানবন্ধন
আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে তামাকপণ্যের কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে তামাকবিরোধী তরুণ ফোরাম। তাদের মতে, সিগারেটের নিম্ন ও মধ্যম স্তরের মূল্য একীভূত করে ১০ শলাকার প্যাকেটের দাম ৯০ টাকা নির্ধারণ করা উচিত, উচ্চ স্তরে ১৪০ টাকা এবং প্রিমিয়াম স্তরে ১৯০ টাকা। এছাড়া, খুচরা মূল্যের ওপর ৬৭% সম্পূরক শুল্ক, ১৫% ভ্যাট এবং ১% স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
তারা আরও সুপারিশ করেছে যে, ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২৫ টাকা এবং ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকা বিড়ির মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫% সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হোক। জর্দা ও গুলের ক্ষেত্রে, প্রতি ১০ গ্রামে যথাক্রমে ৫৫ ও ৩০ টাকা খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে ৬০% সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এই প্রস্তাবনা বাস্তবায়িত হলে, প্রায় ২৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপান থেকে বিরত থাকবে এবং প্রায় ১৮ লাখ কিশোর-তরুণকে নতুন করে সিগারেট ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা সম্ভব হবে। এছাড়া, সরকারের বাড়তি রাজস্ব আয় হবে ২০ হাজার কোটি টাকা।
তামাকবিরোধী তরুণ ফোরামের আহ্বায়ক আশরাফিয়া জান্নাত বলেন, "আমাদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে ৯ লাখ তরুণসহ প্রায় ১৭ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু প্রতিরোধ সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে সরকার পাবে ২০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব"।
এছাড়া, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন ও অন্যান্য সংগঠনও তামাকপণ্যের কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে। তাদের মতে, এই পদক্ষেপ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করবে এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এই প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার তামাকমুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারে।