"সরকারি এলপি গ্যাস বিক্রিতে কারচুপি? বিপিসি কার্যালয়ে দুদকের অভিযান"
সরকারি এলপি গ্যাস বিক্রিতে অনিয়ম: বিপিসিতে দুদকের অভিযান, মিলেছে দুর্নীতির প্রমাণ
ঢাকা, ৬ মে ২০২৫:
সরকারি সিলিন্ডারজাত এলপি গ্যাস বিক্রিতে ব্যাপক অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত বিপিসি সদর দফতরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুদকের তদন্ত দল জানায়, প্রতিবছর প্রায় ১৪ লাখ সরকারি সিলিন্ডার বিক্রি করা হলেও প্রকৃত গ্রাহকরা তা হাতে পান না। একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট ওই সিলিন্ডারগুলো নিয়ন্ত্রণ করে বিক্রি করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহে নিয়োজিত পদ্মা ও যমুনা ওয়েল কোম্পানির কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হন।
দুদক কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, সরকারি এলপি গ্যাসের প্রচারণা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হতো না, যাতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সেগুলো বিক্রি করে দুর্নীতি করা সম্ভব হয়। এসব অনিয়মের সঙ্গে বিপিসির কিছু কর্মকর্তা জড়িত থাকতে পারেন বলেও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।
বিপিসির চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান জানিয়েছেন, সম্প্রতি যমুনা টেলিভিশনের ‘ইনভেস্টিগেশন ৩৬০ ডিগ্রি’ অনুষ্ঠানে প্রচারিত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে সরকারি সিলিন্ডারভিত্তিক গ্যাস দুর্নীতির বিষয়ে তারা জানতে পারেন। তিনি বলেন, "বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিপিসির কোনো কর্মকর্তা জড়িত থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এ ঘটনায় ইতোমধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্তে দুর্নীতির প্রমাণ মিললে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।