বাংলাদেশ-সৌদি আরব প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় প্রথম যৌথ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ক প্রথম যৌথ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার, ৬ মে, ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এই সভার আয়োজন করা হয়। সংশ্লিষ্টদের মতে, এই সভা দুই দেশের মধ্যকার সামরিক সম্পর্ক জোরদার করা এবং পারস্পরিক প্রতিরক্ষা লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন, কৌশলগত সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো সমন্বয় সাধন। এর আওতায় যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা শিল্প এবং যৌথ মহড়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
আইএসপিআর বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই সভা দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা সম্পর্কের এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।
সৌদি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইব্রাহিম আল-খালদি, যিনি সৌদি সামরিক বাহিনীর ১৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনায় অংশ নেন।
বাংলাদেশ পক্ষের নেতৃত্ব দেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান। তার সঙ্গে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় দুই পক্ষ ভ্রাতৃত্ব ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদারে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। আলোচনার মধ্যে ছিল বক্তব্য উপস্থাপন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নির্ধারণ এবং যৌথ কার্যক্রম বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছানো।
আগামী ৮ মে সকাল ১১টায় এই সভার কার্যবিবরণী স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, ২০২৬ সালের শেষার্ধে পরবর্তী যৌথ কমিটির সভা সৌদি আরবে আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, যার বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা সামরিক ও কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে।
আইএসপিআর আরও জানায়, এই সভা দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের একযোগে কাজ করার অঙ্গীকারকে পুনর্ব্যক্ত করেছে।
এএফএম