ভারত পাকিস্তান  যুদ্ধ উত্তেজনার অংশ হবে না বাংলাদেশ : সাইফুল  হক

ভারত কর্তৃক পাকিস্তানের কয়েকটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ, বেসামরিক নাগরিকদের হতাহত করা এবং যুদ্ধান্মোদনা পরিস্থিতিতে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেছেন, এই যুদ্ধ উন্মাদনা ভারত বা পাকিস্তান কোন দেশ বা জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে না। বরং এই যুদ্ধের বলি হবে, উভয় দেশের শিশু-নারীসহ সাধারণ মানুষ।
 
বুধবার (৭ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ সব কথা বলেন তিনি।
 
তিনি আরো বলেন, এটা নিশ্চিত যে উভয় দেশের সাধারণ মানুষ এই ধরনের কোন যুদ্ধ বা যুদ্ধ পরিস্থিতি দেখতে চায় না। কারণ শেষ অভিঘাত এসে পড়ে সাধারণ মানুষের উপর। দেশের সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়ে এমন সব পদক্ষেপ থেকে অন্তর্র্বতী সরকারকে দূরে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
সাইফুল হক বলেন, ভারতের বিজেপি সরকার কাস্মীরে পর্যটকদের হত্যার ঘটনাকে পুঁজি করে যে যুদ্ধ উন্মাদনা তৈরী করেছে তার মূলে রয়েছে, ভারতে আগামী রাজ্য ও জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নরেন্দ্র মোদি সরকারের উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক মেরুকরণকে নতুন স্তরে উন্নীত করা।
 
এর সাথে যুক্ত রয়েছে, করপোরেট ব্যবসায়ীদের মদদ।পাকিস্তানের বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর জন্যেও একই কথা প্রযোজ্য। 
তিনি আরো বলেন, এটা পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে এমন এক যুদ্ধ যে যুদ্ধে কেউই বিজয়ী হবেনা ; কিন্তু যুদ্ধ উন্মাদনা এখুনি বন্ধ করতে পারলে তা আগামীতে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
 
যুদ্ধ উন্মাদনা প্রশমনে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে সাইফুল হক বলেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই ভারত উসকানিমূলকভাবে তার দেশের নাগরিকদেরকে খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করতে শুরু করেছে।
 
এদেরকে গুজরাট থেকে ধরে আনার কথা শোনা যাচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতের এই আগ্রাসী তৎপরতা বাংলাদেশের জন্য গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারকে অবিলম্বে ভারতের এই উসকানিমূলক তৎপরতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান তিনি।