ইন্টারনেটের দাম কমানোর পদক্ষেপ সরকারের, তারপরও কেন কমছে না দাম?

বাংলাদেশে ইন্টারনেটের দাম কমানোর জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তবে গ্রাহক পর্যায়ে এর প্রভাব এখনও স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে না।

ব্যান্ডউইথ ও সঞ্চালন খরচে ছাড়

  • ২০২৫ সালের মার্চে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি (বিএসসিসিএল) ব্যান্ডউইথের দাম ১০% কমানোর ঘোষণা দেয়, যা মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড উভয় সেবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

  • ফাইবার অ্যাট হোম এবং সামিট কমিউনিকেশন্সও ব্যান্ডউইথ ও সঞ্চালন খরচ কমানোর ঘোষণা দেয়। তবে সামিট শুধুমাত্র ব্রডব্যান্ড সেবায় এই ছাড় কার্যকর করেছে, মোবাইল সেবায় নয়।

মোবাইল অপারেটরদের প্রতিক্রিয়া

  • বাংলালিংক ও রবি জানিয়েছে, তারা এখনও ইন্টারনেটের দাম কমানোর কোনো সরকারি নির্দেশনা পায়নি।

  • ফাইবার অ্যাট হোম দাবি করেছে, তারা মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড উভয় সেবায় নতুন দর কার্যকর করেছে।

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমানোর প্রস্তাব

  • বিটিআরসি গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম সর্বোচ্চ ২০% কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে।

  • এই প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

কর ও শুল্কের প্রভাব

  • জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মোবাইল ইন্টারনেটে সম্পূরক শুল্ক ২০% থেকে ২৩% বৃদ্ধি করেছে।

  • ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে প্রথমবারের মতো ১০% সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল, যা পরে প্রত্যাহার করা হয়।

 

সরকার ব্যান্ডউইথ ও সঞ্চালন খরচ কমানোর মাধ্যমে ইন্টারনেটের দাম হ্রাসের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে এই ছাড় পুরোপুরি কার্যকর হয়নি এবং কর বৃদ্ধির কারণে গ্রাহক পর্যায়ে দাম কমার প্রভাব সীমিত। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমানোর প্রস্তাব অনুমোদিত হলে গ্রাহকরা সরাসরি উপকৃত হতে পারেন।