সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গোপনে দেশ ত্যাগ করেছেন। বুধবার (৭ মে) দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে তিনি ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। এ সময় তার সঙ্গে ছেলে রিয়াদ আহমেদ ও শ্যালক ড. এ এম নওশাদ ছিলেন ।

বিমানবন্দরের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, রাত ১১টার দিকে আবদুল হামিদ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে তিনি দেশ ছাড়ার অনুমতি পান ।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ওবায়দুল কাদেরের নামও রয়েছে ।

বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বা আদালতের নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তার বিদেশযাত্রায় আইনগত বাধা ছিল না ।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৯ মাস পর আবদুল হামিদের এই দেশত্যাগ রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা ও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।