ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান অধ্যাপক আলী রীয়াজের

ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ সম্প্রতি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি জবাবদিহিমূলক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, কাঠামোগত পরিবর্তনের মাধ্যমে যদি একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যায়, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাংলাদেশকে একটি আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করবে।

গত ৪ মে জাতীয় সংসদের এলডি হলে ১২-দলীয় জোটের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে আলী রীয়াজ এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, গত ৫৩ বছর ধরে জনগণ একটি গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে আসছে। বিশেষ করে গত বছরের জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান এই পরিবর্তনের ভিত্তি রচনা করেছে।

আলী রীয়াজ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জাতীয় ঐকমত্য গঠনের দায়িত্ব শুধু কমিশনের নয়, বরং যারা এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের সবার। তিনি বলেন, "যারা এই লড়াইয়ে ছিলেন, যারা আজ আমাদের সঙ্গে কথা বলছেন, দয়া করে আপনারা আপনাদের সহযোগী ও অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে আলোচনা করুন, কীভাবে আমরা একটি সাধারণ ভিত্তিতে পৌঁছাতে পারি।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি, রাষ্ট্র গঠনের মৌলিক বিষয়গুলোর ওপর একটি সাধারণ ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব। আমরা সবাইকে একত্রিত হতে হবে। আমরা হয়তো সব বিষয়ে একমত হব না, কিন্তু রাষ্ট্র গঠনের মৌলিক বিষয়গুলোতে আমাদের একমত হতে হবে এবং বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে।"

এই সংলাপের প্রথম পর্যায় ১৫ মে শেষ হবে এবং এরপর দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হবে। এই সংলাপের মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ প্রণয়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে, যা ভবিষ্যতে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথনির্দেশ করবে।

আলী রীয়াজের নেতৃত্বে গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশন ইতোমধ্যে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়নের সুপারিশ করেছে, যা জনগণের অংশগ্রহণ, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের মধ্যে ভারসাম্য নিশ্চিত করবে।

এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।