যমুনার সামনে আন্দোলনে শিবিরের সংহতি, আ' লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের অংশগ্রহণ

সংগৃহীত

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা এবং গণহত্যার দায়ে জড়িতদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবিতে যমুনার সামনে চলমান আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছে। শুধু নৈতিক সমর্থনেই নয়, সংগঠনের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা সরাসরি আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) মধ্যরাতে শিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহসহ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে আন্দোলনকারীদের পাশে অবস্থান নিতে দেখা যায়।

দলীয় অবস্থান সম্পর্কে সিবগাতুল্লাহ বলেন, “আমরা এই আন্দোলনের সঙ্গে নৈতিকভাবে সম্পূর্ণ একমত। গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ছাত্রসমাজের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের নেতাকর্মীসহ সচেতন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।”

এর আগে সিবগাতুল্লাহ সিগবা তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘যমুনায় আসছি। দেশের মানুষের জন্য আমরা আছি, ইনশাল্লাহ।’

শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দামও আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বলেন, “গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা জরুরি।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে কাজ করা আমলাদের সহায়তাকারী উপদেষ্টারাও বিচারের আওতায় আসবে। এখন সময় এসেছে পুরো ব্যবস্থার দায় নির্ধারণ করে তার সংস্কার নিশ্চিত করার।”