হাসনাত আবদুল্লাহ হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার হওয়া ক্রিকেটার আল আমিন জামিনে মুক্ত

সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার হওয়া অনূর্ধ্ব-১৮ দলের ক্রিকেটার আল আমিনকে জামিন দিয়েছেন আদালত। মামলার বাদী নিজেই আদালতে তার জামিনের জন্য আবেদন করলে এই রায় দেওয়া হয়। বুধবার (৭ মে) গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আল আমিনের জামিন মঞ্জুর করা হয়। মামলার বাদী এবং গাজীপুর জেলা ও মহানগর এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক খন্দকার আল আমিন নিজেই এই জামিন আবেদন করেন।

গত ৫ মে হাসনাত আব্দুল্লাহকে হত্যাচেষ্টা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। তার গ্রেফতারের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। বিষয়টি স্থানীয় এনসিপি নেতাদের নজরে এলে তারা হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মামলার বাদী খন্দকার আল আমিন জানান, হাসনাত আবদুল্লাহ নির্দেশ দেন যে, যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় কিন্তু হয়রানির শিকার হচ্ছেন, তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

খন্দকার আল আমিন বলেন, "আমরা যখন জানলাম আল আমিনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে, তখনই হাসনাত ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলি। তিনি নির্দেশ দেন, যারা নিরপরাধ কিন্তু হয়রানির শিকার, তাদের মুক্তির উদ্যোগ নিতে।" পরবর্তীতে আল আমিনের স্থায়ী জামিনের আবেদন করা হলেও আদালত অস্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনের আদেশের পর বুধবার রাতেই আল আমিন কারাগার থেকে মুক্তি পান।

খন্দকার আল আমিন আরও বলেন, "আমরা আমাদের উদ্যোগেই তাকে কোর্ট থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছি।"

এদিকে, এই মামলায় বেশ কিছু বিএনপি নেতাকর্মীকেও জড়ানো হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে শ্রীপুর থানার সামনে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেন। তারা মামলায় নিরপরাধ কাউকে ফাঁসানো না হয়, সেই দাবি জানান। মামলার বাদী খন্দকার আল আমিন এ প্রসঙ্গে বলেন, "যারা আওয়ামী লীগের সময়ে অর্থের যোগান দিয়েছেন, তারাই এখন বিএনপির ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছেন।" তবে তিনি আবারও উল্লেখ করেন যে, হাসনাত আবদুল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন নিরপরাধ কাউকে আইনি জটিলতায় না ফাঁসানোর, এবং তারা সেই নির্দেশ বাস্তবায়ন করবেন।

প্রসঙ্গত, হাসনাত আবদুল্লাহর হত্যাচেষ্টা মামলায় বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত পুলিশ মোট ৭৭ জনকে গ্রেফতার করেছে।